টাইব্রেকারে ২-৪ গোলে হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

নাটকীয়তায় শেষ হল বিশ্বকাপের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াই। শক্তিশালী ব্রাজিলকে হারিয়ে যার শেষ হাসি হাসলো ক্রোয়েশিয়া। কাতারের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে শেষ আটের এই লড়াইয়ে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে কোনো দল গোল করতে না পারায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে।

গতবারের মতো এবারও টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনালে পা রাখলো গত আসরের রানার্সআপরা। কাঁদিয়েছে হেক্সা জয়ের মিশনে আসা ব্রাজিলকে। এর আগে ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দল আক্রমণাত্মক ফুটবল খেললেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি কেউ। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে গোলমুখে প্রথম শট নেয় ব্রাজিল। তবে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের সেই শট সহজেই রুখে দেন ক্রোয়েট গোলরক্ষক লিভাকভিচ।

শুধু মূল বিষয়গুলি
১১৭ মিনিট। গোওওওওওল
ব্রাজিল ভেবেছিল তারা সেমিফাইনালে উঠে গিয়েছে। মুহূর্তের অসাবধানতায় গোল খেয়ে বসে তারা। ১১৭ মিনিটের মাথায় প্রতি আক্রমণে আসে ক্রোয়েশিয়া। সেখান থেকে পেরিসিচের পাসে বাঁ পায়ের শটে গোল করেন ব্রুনো পেটকোভিচ।

বিরতি
নেমারের গোলে এগিয়ে গেল ব্রাজিল।
নেমারের গোলে এগিয়ে গেল ব্রাজিল। ছবি: রয়টার্স

১১৭ মিনিট
ব্রাজিল ভেবেছিল তারা সেমিফাইনালে উঠে গিয়েছে। মুহূর্তের অসাবধানতায় গোল খেয়ে বসে তারা। ১১৭ মিনিটের মাথায় প্রতি আক্রমণে আসে ক্রোয়েশিয়া। সেখান থেকে পেরিসিচের পাসে বাঁ পায়ের শটে গোল করেন ব্রুনো পেটকোভিচ।

১০৫ মিনিট। গোওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওলললললল
অসাধারণ গোল করলেন নেমার। অবশেষে গোল পেল ব্রাজিল। মাঝমাঠ থেকে খেলা শুরু করেছিলেন নেমারই। প্রথমে পাস খেলেন পেদ্রোর সঙ্গে। সেখান থেকে নেমার বল পেয়ে পাকুয়েতাকে। পাকুয়েতার থেকে পাস পেয়ে গোলকিপার লিভাকোভিচকে এক টোকায় কাটিয়ে বল জালে জড়ালেন নেমার।

১০৩ মিনিট
দুর্দান্ত সুযোগ পেয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। বারের উপর দিয়ে উড়িয়ে দিলেন ব্রোজোভিচ। সহজ সুযোগ নষ্ট ক্রোয়েশিয়ার।

১০০ মিনিট
অতিরিক্ত সময়েও গোল খোঁজার মরিয়া চেষ্টা করে যাচ্ছে ব্রাজিল। তবে বার বার ক্রোয়েশিয়ার বক্সে গিয়ে প্রতিহত হচ্ছে তাদের আক্রমণ।

৯০+৪ মিনিট
দ্বিতীয়ার্ধের খেলাও শেষ হল গোলশূন্য অবস্থায়। ম্যাচ গড়াল অতিরিক্ত সময়ে। শেষ দিকে অ্যান্টনি একটি সরাসরি গোলে শট মেরেছিলেন। কিন্তু লিভাকোভিচ সহজেই বাঁচিয়ে দেন।

৮০ মিনিট
অ্যান্টনির ক্রস পেয়েছিলেন রদ্রিগো। তাঁর থেকে পাস পেয়েছিলেন পাকুয়েতা। তাঁর শট আবার আটকে দিলেন লিভাকোভিচ।

৭৬ মিনিট
নেমারের শট বাঁচিয়ে দিলেন লিভাকোভিচ। আবার গোলের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল ব্রাজিল। কিন্তু এ বারও ক্রোয়েশিয়ার গোলকিপার ত্রাতা হয়ে উঠলেন।

৬৬ মিনিট
পাকুয়েতার শট বাঁচিয়ে দিলেন লিভাকোভিচ। গোলকিপারের মাথায় উপর দিয়ে শট মারতে গিয়েছিলেন। লিভাকোভিচের হাতে লেগে বল কর্নার হয়ে গেল।

৫৭ মিনিট
রাফিনহাকে তুলে অ্যান্টনিকে নামালেন তিতে। ডান দিক থেকে আক্রমণ বাড়াতে চাইছেন তিনি। নেমেই ডান দিকে পাস বাড়িয়েছিলেন তিনি। অল্পের জন্য গোল হল না।

৪৭ মিনিট
গোলের সামনে থেকে বাঁচিয়ে দিল ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণ ভাগ। ক্রোয়েশিয়ার এক ফুটবলারের হাতে বল লাগলেও রেফারি ভার-এর সঙ্গে পরামর্শ করে পেনাল্টি না দেওয়ার পক্ষে সিদ্ধান্ত নিলেন।

বিরতি
খেলায় এখনও গোল হয়নি।

৪২ মিনিট
ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে বক্সের সামান্য বাইরে ফ্রিকিক করা হল। নেমারের পাস বিপক্ষ ফুটবলারের গায়ে লেগে হালকা ঘুরে গেলেও জমা পড়ল গোলকিপারের হাতে।

৩২ মিনিট
নেমারকে আটকানোর মরিয়া চেষ্টা করছে ক্রোয়েশিয়া। তাঁকে ফাউল করা হচ্ছে বার বার। বাঁ দিকে ভিনিসিয়াসও গোলের মুখ খুলতে পারছেন না।

২২ মিনিট
পর পর দু’টি আক্রমণ করেছিল ব্রাজিল। প্রথমে ভিনিসিয়াস তার পর নেমার। কিন্তু ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণ তা আটকে দিল।

২০ মিনিট
অতি রক্ষ্মণাত্মক ভঙ্গিতে খেলছে ক্রোয়েশিয়া। ব্রাজিলের কোনও ফুটবলার বল ধরলেই ছেঁকে ফেলছেন তিন-চার জন। তবে ব্রাজিলের ফুটবলাররা বল তাড়া করে চলেছেন।

১৩ মিনিট
প্রতি আক্রমণে গোলের চেষ্টা করেছিল ক্রোয়েশিয়া। ডান দিক থেকে ক্রস করেছিলেন মদ্রিচ। কিন্তু ক্রসে পা ঠেকাতে পারলেন না পেরিসিচ।

৬ মিনিট
প্রথম থেকে ব্রাজিলকে চাপে রাখার চেষ্টা করছে ক্রোয়েশিয়া। ব্রাজিলকে খেলার জন্য একটুও খোলা জায়গা দিচ্ছে না তারা। বলের নিয়ন্ত্রণ বেশি রয়েছে ক্রোয়েশিয়ার পায়ে।

ব্রাজিলের প্রথম একাদশ
অ্যালিসন, দানিলো, থিয়াগো, মার্কুইনোস, মিলিটাও, কাসেমিরো, পাকুয়েতা, নেমার, রিচার্লিসন, রাফিনহা এবং ভিনিসিয়াস।

সুত্র– রয়টার্স