স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ডেস্ক: শরীরের ভালো-মন্দ নির্ভর করে খাওয়া-দাওয়ার উপর। সারা বছর সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার জুড়ি মেলা ভার। শরীরের খেয়াল রাখতে বাইরের খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকা জরুরি। সেই যে খাবারগুলো উপকারী, সেগুলোও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে এবং সময়ে খেতে হবে। তবেই পাওয়া যাবে প্রকৃত উপকার।

কিছু কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো খালি পেটে খেলে বেশি সুফল পাওয়া যায়। তার মানে এই নয় যে পেট ভর্তি থাকলে সেগুলো খাওয়া যায় না। কিন্তু উপকার পেতে সঠিক পদ্ধতি মেনে খাওয়াদাওয়া করা জরুরি। তাতে সময় এবং পরিশ্রম কোনো কিছুই বিফলে যায় না। কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো যদি খালি পেটে খেতে পারেন বেশি উপকার পাবেন। কোন খাবারগুলো খালি পেটে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে?

মধু
রোগা হতে চাইলে লেবু এবং মধুর পানির উপকারিতা অনেক। যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তারা বিশেষ করে এই পানীয় খালি পেটে খেতে পারেন। রোজ নিয়ম করে এই পানীয় খেলে শরীরের বিপাকহার বাড়বে এবং দ্রুত ওজন কমবে।

কাঠবাদাম
অনেক বাদাম, ড্রাই ফ্রুটস শুকনো খাওয়ার চেয়ে পানিতে ভিজিয়ে রেখে খেলে তার পুষ্টিগুণ অনেক বেড়ে যায়। তার মধ্যে অন্যতম হলো কাঠবাদাম। টুকটাক খিদে মেটাতে কাঠাবাদামের জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু রোজ সকালে আপনি যদি ভেজানো কাঠবাদাম খালি পেটে খান, তা হলে হৃদ্‌রোগ, ডায়াবেটিসের মতো অনেক সমস্যা দূরে থাকবে। সকালে যদি শরীরচর্চা করার অভ্যাস থাকে, তা হলে তার আগে কাঠবাদাম খেলে অনেক বেশি শক্তি পাবেন।

আমলকি
আমলকিতে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। খালি পেটে আমলকির রস খেলে চুল, ত্বক সবই ভালো থাকবে। তার পাশাপাশি, হৃদ্‌যন্ত্র সুস্থ থাকবে এবং লিভারও ঠিক মতো কাজ করবে। এমনিতে আমলকি খুব টক হওয়ায় অনেকে সিদ্ধ করে ভাতে মেখে খান। কিন্তু তাতে সব পুষ্টিগুণ চলে যায়। তার চেয়ে কাঁচা খাওয়াই ভালো। খালি পেটে খেতে পারলে আরো উপকারী।

পেঁপে
কাঁচা পেঁপে রস করে খাওয়ার যেমন গুণ রয়েছে, তেমনই পাকা পেঁপে খাওয়ারও অনেক সুফল রয়েছে। খালি পেটে যদি পেঁপে খেতে পারেন, তা হলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। পেঁপেতে ক্যালোরির পরিমাণ অনেকটাই কম। তাই যারা ওজন কমাতে চান, তারা নির্ভয়ে পেঁপে খেতে পারেন। এতে খাবার হজম হবে তাড়াতাড়ি।

জিরা ভিজানো পানি
পিসিওডি বা থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে অতি অবশ্যই রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস পানিতে কিছু জিরা ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে সেই পানি ছেঁকে খালি পেটে খান। এতে শরীরের হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকবে এবং বিপাক হারও বাড়বে।