আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে অবৈধ ইহুদি বসতির ভেতরে এক ফিলিস্তিনি কিশোরের ছুরি হামলায় তিন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। পরে ওই কিশোরকে গুলি করে হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী। আজ বুধবার (১৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। বেনিয়ামিন নেয়ানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী জোটের আইনপ্রণেতাদের শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

চলতি বছরের মার্চ মাসে পশ্চিম তীরে অভিযান জোরদার করার পর এটি ছিল ইসরায়েলের জন্য সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী ঘটনা। গত মার্চ থেকে শুরু হওয়া ওই অভিযানে বহু ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরায়েলি সেনারা।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, পশ্চিম তীরে একটি অবৈধ ইহুদি বসতির কাছে ফিলিস্তিনি ওই কিশোর তিন ইসরায়েলিকে হত্যা করে। এ ঘটনার প্রশংসা করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো। তাকে নায়ক হিসেবে অভিহিত করে তারা।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, হামলার পর গুলিবিদ্ধ কিশোরকে পার্শ্ববর্তী গ্রামের ১৮ বছরের এক তরুণ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানান, ওই কিশোর শিল্পাঞ্চলে ঢুকে ছুরিকাঘাত শুরু করে। সেখানে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন; উভয় দেশের মানুষ কাজ করে। পরে একজন সেনাসদস্য তাকে গুলি করে হত্যা করে। ওই কিশোরের শিল্পাঞ্চলে কাজ করার লাইসেন্স ছিল এবং সশস্ত্র কোনো গোষ্ঠীর সঙ্গে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না বলে জানা গেছে।

অধিকৃত পশ্চিম তীরের এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনিরা চিরকাল ইসরায়েলের দখলদারিত্ব মেনে নেবে না। আমরা আমাদের জনগণের অধিকার রক্ষায় পদক্ষেপ নেব।’

সুত্র– রয়টার্স