ডা: ওবায়দুল কাদির : কায়িক পরিশ্রম কম করা, অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে ডায়াবেটিস রোগ শরীরে বাসা বাঁধছে । ডায়াবেটিস থাকলে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। সে জন্য ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। ডায়াবেটিস বশে রাখা একেবাই সহজ নয়। নিয়ম করে ওষুধ খাওয়া, ইনসুলিন নেওয়ার পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়াতেও মেনে চলতে হয় অনেক বিধিনিষেধ।

ডায়াবেটিকরা ইচ্ছে করলেই সব কিছু খেতে পারেন না। নিয়ম মেনে খাওয়া দাওয়া করতে হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস থাকলে কী খাচ্ছেন তার পাশাপাশি কখন খাচ্ছেন সেটাও জেনে রাখা অত‍্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে রাতের খাবার সময় মতো না খেলে রক্তে শর্করার মাত্রার হেরফের হতে পারে।

চিকিৎসকদের মতে; রাতে দেরি করে খাবার খাওয়ার প্রবণতা অত‍্যন্ত খারাপ। ডায়াবেটিস রোগীদের তো বটেই, সুস্থ থাকতে সকলেরই তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খেয়ে নেওয়া জরুরি। রাতের খাবার খেতে দেরি হলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার একটা আশঙ্কা থাকে। ডায়াবেটিস থাকলে রাতে কার্বোহাইড্রেট-যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। এতে রক্তে চিনির মাত্রা বাড়ে। সেই সঙ্গে স্থূলতার সমস‍্যাও দেখা দিতে পারে। তাই ফাইবার এবং প্রোটিন আছে এমন খাবারই রাতে খান। এবং রাতে যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি খেয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন।

রাতে দেরি করে খেলে খাবার সহজে হজম হতে চায় না। হজমের গোলমালের কারণে ঘুম আসতেও দেরি হয়। ঘুমের ব‍্যাঘাতের কারণে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার একটা আশঙ্কা থাকে। ঝুঁকি না নিয়ে সুস্থ থাকতে রাতের খাবার একটু তাড়াতাড়ি খেয়ে নেওয়াই ভাল। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিসের রোগীদের ঘুমাতে যাওয়ার আগে অন্তত ২ ঘণ্টা আগে খেয়ে নেওয়া জরুরি। সেই সঙ্গে ফ‍্যাট এবং কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ ডায়াবেটিসে ভুগলে রাত ৮-৯টার মধ্যে খাবার খেয়ে নেওয়াই শ্রেয়। খেয়েই ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাসও অস্বাস্থ্যকর। প্রতিদিন যে সময়ে ঘুমাতে যান তার বেশ কিছু সময় আগে খেয়ে নিন। তার পর খানিক হাঁটাচলা করে ঘুমান। তাতে খাবার হজম হয়ে যাবে। আবার ঘুমও ভাল হবে। নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিসও।