আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : সরকার বিরোধী লংমার্চ চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান। এ সময় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর গুলিতে এক হামলাকারী নিহত হন। অপর হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী।

তবে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া ওই হামলাকারীর পরিচয় এখন পর্যন্ত দেশটির গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়নি। তবে গ্রেফতারের পরপরেই পাকিস্তান পুলিশের কাছে দেওয়া এক ভিডিও বিবৃতিতে হামলাকারী বলেছেন, তাকে লোকজন ভুল বুঝিয়েছিল। যে কারণে তিনি ইমরান খানকে হত্যার চেষ্টা করেছেন। ভিডিও তে তিনি জানান,’আমি তাকে সহ্য করতে পারছিলাম না। যে কারণে তাকে হত্যা করতে চেয়েছিলাম। তাকে হত্যার চেষ্টা করেছি।’

অভিযুক্ত ওই ব্যাক্তি আরো বলেন, ‘আমি ইমরান খানকে হত্যার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছি। আমি কেবল ইমরান খানকে হত্যা করতে চেয়েছিলাম। এছাড়া আমার আর কাউকে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল না।’ হামলাকারী এই যুবক বলেন, ইমরান খান লাহোর ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে হত্যার পরিকল্পনা করছিলেন তিনি। তবে এই হামলায় তার কোনও সহযোগী আছে কিনা জানতে চাইলে মাথা নাড়িয়ে নেতিবাচক জবাব দেন হামলাকারী। বলেন, ‘আমার সাথে আর কেউ ছিল না। আমি একাই ছিলাম।’

এদিকে এই ঘটনায় আল্লাহ ওয়াল্লা চকে বন্দুকধারীর ছোড়া অন্তত তিন থেকে চারটি গুলি ইমরান খানের পায়ে বিদ্ধ হয়েছে বলে তার জ্যেষ্ঠ এক সহযোগী জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী পায়ের পাতায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তবে বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত রয়েছেন। ইমরান খানের সহযোগী রউফ হাসান বলেন, ইমরান খানকে গুলি করা এক হামলাকারী নিহত হয়েছেন। অন্য একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি বলেন, এটা ছিল পুরোপুরি হত্যাচেষ্টা। তাকে গুপ্তহত্যার চেষ্টা করেছে। এক হামলাকারী গুলিতে নিহত হয়েছেন। অপরজনকে জিম্মায় নিয়েছে পুলিশ।