আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রায় ছয় মাস আগে বাংলাদেশে ফেরার চেষ্টাকালে আটক হয় ৪২ বছর বয়সী চাঁদনী। ভারতের আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জ জেলা কারাগারে আটক থাকা চাঁদনী শেখ নামে এক বাংলাদেশি নারী সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।

একাধিক ভারতীয় গনমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, করিমগঞ্জের যুগ্ম পরিচালক (স্বাস্থ্য) সামছুল আলম জানান, তারা দুই মাস আগে চাঁদনী শেখসহ দুই বাংলাদেশি বন্দীকে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় দেখতে পান। এরপর থেকে তারা চাঁদনী শেখকে চেকআপ, ওষুধ, পুষ্টিকর খাবারসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়েছেন। গত সোমবার করিমগঞ্জ কারাগার থেকে চাঁদনীকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সি-সেকশনের মাধ্যমে তার সন্তান প্রসব করানো হয়। হাসপাতালের একজন স্বাস্থ্যকর্মী জানান, এটি চাঁদনীর চতুর্থ সন্তান এবং অন্যরা বাংলাদেশে রয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, চাঁদনী শেখ তার স্বামী এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে অবৈধভাবে ভারতে আসেন এবং কাজের সন্ধানে মুম্বাই গিয়েছিলেন। চাঁদনী মুম্বাই ছেড়ে আসলেও তার স্বামী থেকে যান। কারাগারের এক কর্মকর্তা জানান, বিদেশি নারী বন্দীদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোকরাঝার জেলে পাঠানো হয়। তবে গ্রেপ্তারের সময়ই চাঁদনী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা থাকায় তাকে করিমগঞ্জ কারাগারে রাখা হয়। তবে চাঁদনী ধরা পড়লেও তার স্বামী যোগাযোগের চেষ্টা করেনি। নবজাতকের নাগরিকত্ব নিয়ে আইনজীবী আমান ওয়াদুদ ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এই সন্তান ভারতীয় নাগরিক বলে গণ্য হবে না। কারণ ভারতের আইন অনুসারে নবজাতকের নাগরিকত্বের জন্য তার বাবা-মা উভয়কেই ভারতের নাগরিক হওয়া আবশ্যক।

তবে বর্তমানে চাঁদনী শেখকে ফের কারাগারে নেয়া হয়েছে এবং সেখানে মা ও শিশু দুজনেই ভালো আছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। আসামের ইন্সপেক্টর জেনারেল (কারা) বর্নালি শর্মা বলেন, চাঁদনী শেখ এবং তার সন্তানের দেখাশোনার জন্য একজন ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কারাগারে এমন অনেক শিশুই জন্ম নিয়েছে। আমরা তাদের পর্যাপ্ত খাবার, চিকিৎসা ও সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সাহায্য করেছি।