সারাবিশ্ব | তারিখঃ জুলাই ৩, ২০২৪ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 3647 বার
সারাবিশ্ব ডেস্ক : ভারতের উত্তর প্রদেশে ধর্মীয় সমাবেশে পদদলিত হয়ে কমপক্ষে ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে গোটা ভারত। এর মধ্যেই জানা গেল, ঘটনার পরপরেই হাসপাতালের মর্গে যখন একের পর এক লাশ আসছিল, তা দেখেই হঠাৎই মাথা ঘুরে পড়ে যান কনেস্টবল রবি কুমার। দ্রুত চিকিৎসা শুরু হলেও, অসুস্থ হওয়ার মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যেই মৃত্যু হয় রবি কুমারের।
জানা যায়, উত্তর প্রদেশে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্টে মৃত ও আহতদের আনা হয় স্থানীয় হাসপাতালে। এসময় হতাহতদের স্বজনদের ভিড় সামলাতেও বেগ পেতে হয় পুলিশকে। উত্তর প্রদেশে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্টে মৃত ও আহতদের আনা হয় স্থানীয় হাসপাতালে। এসময় হতাহতদের স্বজনদের ভিড় সামলাতেও বেগ পেতে হয় পুলিশকে। খবর এনডিটিভির।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেলে হাথরাস জেলার রতি ভানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্মীয় ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন ‘ভোলে বাবা’ নামে পরিচিত এক ধর্মগুরু। তার অনুসারীরাই ওই আয়োজনে গিয়েছিলেন। তবে ঘটনার পর থেকে ভোলে বাবার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় ইতোমধ্যেই দায়ের করা হয়েছে এফআইআর। কিন্তু জানা গেছে, সেখানে স্বঘোষিত ধর্মগুরু সুরজ পাল ওরফে ভোলে বাবা ওরফে নারায়ণ হরির নাম নেই!
এফআইআরে রয়েছে ভোলে বাবার মুখ্য সর্দার অর্থাৎ তার ঘনিষ্ঠ সহকারীর নাম। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, অনুমতি নেয়ার সময় আয়োজকরা ওই সৎসঙ্গ বা সভায় উপস্থিত প্রকৃত মানুষের সংখ্যা লুকিয়েছিলেন। এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, ধর্মীয় ওই আয়োজনে ৮০ হাজার মানুষ জড়ো হবে বলে অনুমতি নেয়া হয়েছিল। কিন্তু জমায়েত ছিল অন্তত আড়াই লাখের বেশি মানুষের।
পুলিশ আরো জানায়, ধর্মগুরুর পায়ের ধুলা নেয়ার জন্য এগিয়েছিলেন অনেক ভক্ত। তখনই গুরুর দেহরক্ষীরা তাদের বাধা দেন, এমনকি ঠেলে সরানোরও চেষ্টা করেন। আর তাতেই ভিড়ের মধ্যে শুরু হয়ে হুড়োহুড়ি। এরপর পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় লাশ জমতে থাকে হাসপাতালের মর্গে। এর সঙ্গে স্বজনহারাদের কান্নার রোল। সব মিলিয়ে পরিবেশ তীব্র শোকাতুর হয়ে উঠে। ওই মেডিকেল কলেজের মর্গেই মোতায়েন ছিলেন দুই পুলিশকর্মী। তাদের মধ্যে একজন কনস্টেবল রবি কুমার।
রবি কুমারের সহকর্মীরা জানান, মর্গে এত লাশ দেখে অস্বস্তি বোধ করছিলেন রবি। মৃত্যু, রক্ত, আর্তনাদ দেখে বিচলিত হয়ে বারবার পায়চারি করছিলেন তিনি। এরপর আচমকাই অসুস্থ বোধ করেন। দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়। তবে সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে মাত্র ২০ মিনিট পরই মৃত্যু হয় রবি কুমারের। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই পুলিশ কর্মীর।