০৭:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

বেনাপোলে কাস্টম ও পুলিশের বিচক্ষণতায় ট্যাক্স জালিয়াতি চক্রের হোতা শামিম আটক

নিউজ ডেস্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক: বেনাপোল ট্রাভেল পয়েন্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠানে জাল ভ্রমণ ট্যাক্স কাটার দায়ে প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী শামিম হোসেন (৩৬) আটক হয়েছে।
সোমবার ১০ মার্চ বেলা ১ টার সময় ভারতীয় যাত্রীর ট্রাভেল ট্যাক্স জালিয়াতির দায়ে তাকে কাস্টম ও এপিবিএন পুলিশ যৌথ ভাবে আটক করে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করেছেন।

শামিম বেনাপোল পৌরসভার সাদিপুর গ্রামের মোমিন চৌধুরীর ছেলে। এর আগেও সে ভ্রমণ কর জালিয়াতির কারনে দুই বার গ্রেফতার হয়। আইনের ফাঁকফোকরে সে জামিন পেয়ে আবারও ফিরে একই কাজে জড়িত হয়। তার পিতা মোমিন চৌধুরী স্বর্ণ পাচার করে একাধিকবার জেল খেটেছে। বর্তমানে সে ৫২ পিসও ২০ পিছ স্বর্ণের পৃথক মামলায় জেল খেটে জামিনে আছে।

ভারতীয় নাগরিক বেলাল আহমেদ (পাসপোর্ট নং-ঞ৪৩৩৭০১২) জানায়, সে বাংলাদেশে ঢাকার আশিয়ান মেডিকেল কলেজে পড়াশুনা করে। ঢাকা থেকে বেনাপোলে এসে সে সাদীপুর রোডের বেনাপোল ট্রাভেল পয়েন্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠানে সরকারী ভ্রমণ কর অনলাইনে জমা দেয়। এরপর সে নিজ দেশে যাওয়ার সময় কাস্টম চেকপয়েন্টে তার ট্রাভেল ট্যাক্স জাল বলে প্রমানিত হয়।

বেনাপোল আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে নিরাপত্তার দায়িত্বে কর্মরত এপিবিএন পুলিশের ক্যাম্প ইনচার্জ পরিদর্শক সন্তু বিশ্বাস বলেন, ভারতে যাওয়ার সময় বেনাপোল টার্মিনালে কাস্টম এর তল্লাশি পয়েন্টে ওই যাত্রীর ভ্রমণ কর চেক করার সময় জাল প্রমাণিত হয়। পরে কোথায় এই ভ্রমণ করের টাকা জমা দেওয়া হয়েছে যাত্রীকে সাথে নিয়ে সনাক্ত করা হয়। যাত্রী বেনাপোল ট্রাভেল পয়েন্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠান এবং ভ্রমণ কর জালিয়াতির হোতা শামিমকে সনাক্ত করে। অভিযুক্ত শামিম বিষয়টি স্বীকার করে। বেনাপোল চেকপোষ্ট কাস্টমের রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল গনি বলেন, আমরা জাল ট্রাভেল ট্যাক্স সনাক্ত করার জন্য সদা তৎপর। আমাদের দুই জন সহকর্মী সব সময় ভ্রমণ কর চেক করে থাকে।

বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: রাসেল মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শামিম হোসেন নামে একজন যুবককে কাস্টম এবং এপিবিএন পুলিশ জাল ট্যাক্স কাটার অপরাধে মামলা দিয়েছে। তাকে যশোর আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। তবে এই শামিমের নামে এর আগেও বেনাপোল থানায় ভ্রমণ কর ফাঁকির অভিযোগে দুটি মামলা রয়েছে।

উল্লেখ্য, আসামি শামিমকে সাথে নিয়ে পুলিশ তার মালিকানাধীন বেনাপোল ট্রাভেল পয়েন্টে গেলে জাল ট্যাক্স কাটার কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার সরঞ্জামাদি জব্দ করে।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৭:২৭:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
২০১

বেনাপোলে কাস্টম ও পুলিশের বিচক্ষণতায় ট্যাক্স জালিয়াতি চক্রের হোতা শামিম আটক

আপডেট: ০৭:২৭:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: বেনাপোল ট্রাভেল পয়েন্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠানে জাল ভ্রমণ ট্যাক্স কাটার দায়ে প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী শামিম হোসেন (৩৬) আটক হয়েছে।
সোমবার ১০ মার্চ বেলা ১ টার সময় ভারতীয় যাত্রীর ট্রাভেল ট্যাক্স জালিয়াতির দায়ে তাকে কাস্টম ও এপিবিএন পুলিশ যৌথ ভাবে আটক করে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করেছেন।

শামিম বেনাপোল পৌরসভার সাদিপুর গ্রামের মোমিন চৌধুরীর ছেলে। এর আগেও সে ভ্রমণ কর জালিয়াতির কারনে দুই বার গ্রেফতার হয়। আইনের ফাঁকফোকরে সে জামিন পেয়ে আবারও ফিরে একই কাজে জড়িত হয়। তার পিতা মোমিন চৌধুরী স্বর্ণ পাচার করে একাধিকবার জেল খেটেছে। বর্তমানে সে ৫২ পিসও ২০ পিছ স্বর্ণের পৃথক মামলায় জেল খেটে জামিনে আছে।

ভারতীয় নাগরিক বেলাল আহমেদ (পাসপোর্ট নং-ঞ৪৩৩৭০১২) জানায়, সে বাংলাদেশে ঢাকার আশিয়ান মেডিকেল কলেজে পড়াশুনা করে। ঢাকা থেকে বেনাপোলে এসে সে সাদীপুর রোডের বেনাপোল ট্রাভেল পয়েন্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠানে সরকারী ভ্রমণ কর অনলাইনে জমা দেয়। এরপর সে নিজ দেশে যাওয়ার সময় কাস্টম চেকপয়েন্টে তার ট্রাভেল ট্যাক্স জাল বলে প্রমানিত হয়।

বেনাপোল আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে নিরাপত্তার দায়িত্বে কর্মরত এপিবিএন পুলিশের ক্যাম্প ইনচার্জ পরিদর্শক সন্তু বিশ্বাস বলেন, ভারতে যাওয়ার সময় বেনাপোল টার্মিনালে কাস্টম এর তল্লাশি পয়েন্টে ওই যাত্রীর ভ্রমণ কর চেক করার সময় জাল প্রমাণিত হয়। পরে কোথায় এই ভ্রমণ করের টাকা জমা দেওয়া হয়েছে যাত্রীকে সাথে নিয়ে সনাক্ত করা হয়। যাত্রী বেনাপোল ট্রাভেল পয়েন্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠান এবং ভ্রমণ কর জালিয়াতির হোতা শামিমকে সনাক্ত করে। অভিযুক্ত শামিম বিষয়টি স্বীকার করে। বেনাপোল চেকপোষ্ট কাস্টমের রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল গনি বলেন, আমরা জাল ট্রাভেল ট্যাক্স সনাক্ত করার জন্য সদা তৎপর। আমাদের দুই জন সহকর্মী সব সময় ভ্রমণ কর চেক করে থাকে।

বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: রাসেল মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শামিম হোসেন নামে একজন যুবককে কাস্টম এবং এপিবিএন পুলিশ জাল ট্যাক্স কাটার অপরাধে মামলা দিয়েছে। তাকে যশোর আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। তবে এই শামিমের নামে এর আগেও বেনাপোল থানায় ভ্রমণ কর ফাঁকির অভিযোগে দুটি মামলা রয়েছে।

উল্লেখ্য, আসামি শামিমকে সাথে নিয়ে পুলিশ তার মালিকানাধীন বেনাপোল ট্রাভেল পয়েন্টে গেলে জাল ট্যাক্স কাটার কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার সরঞ্জামাদি জব্দ করে।