খুলনা বিভাগ, জেলার খবর, নড়াইল | তারিখঃ ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 3313 বার
নিজস্ব প্রতিবেদক: ভাঙ্গুড়া উপজেলায় ৩২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত।
বুধবার পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (এসইডিপি) অন্তর্ভুক্ত স্ট্রেংদেনিং রিডিং হ্যাবিট অ্যান্ড রিডিং স্কিলস অ্যামাং সেকেন্ডারি স্টুডেন্টস স্কিম-এর আওতায় পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
ভাঙ্গুড়া উপজেলার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জনাব মো: সাইফুল আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব প্রতাপ কুমার মন্ডল, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, সরকারি হাজী জামাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মোঃ রফিকুল ইসলাম, অধ্যক্ষ সরকারি ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ; উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজর রিতা রানী পাল, বিজয় কৃষ্ণ প্রামানিক, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার, পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি । রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জনাব মোঃ ইজাজুল ইসলাম, টিম ম্যানেজার, পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র । এছাড়াও উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং সংগঠকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজর জনাব রিতা রানী পাল তিনি বলেন, সেই সাথে বই পড়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ কর্মসূচী পরিচালনা করার ব্যপারে সর্বাত্বক সহযোগীতা করার প্রতি প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সংগঠকগনদের আহ্বান করেন।
বিশেষ অতিথির হিসেবে বক্তব্যে সরকারি হাজী জামাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জনাব প্রতাপ কুমার মন্ডল বলেন, মুখস্থ বিদ্যা থেকে বের করে আনার জন্য সরকার যে সৃজনশীল শিক্ষাe¨e¯’v চালু করেছেন তা যুগোপযোগী। শিক্ষার্থীরা যাতে ভালোভাবে শিখতে বলতে পারে সেক্ষেত্রে এই কর্মসূচি অত্যন্ত সহায়ক।
কর্মশালার প্রধান অতিথি হিসেবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, বই পড়াকে একটি পারিবারিক অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। একজন বাবা মা যখন বই পড়েন তখন ছেলে-মেয়েটি দেখে দেখে বই পড়ার প্রতি আগ্রহী হয়। এজন্য উপস্থিত সকল শিক্ষকদের বই পড়ায় উৎসাহ প্রদানের জন্য আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি শিল্প সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতা বাড়াতে সরকারের প্রতি অনুরোধ করেন। এবং বই পড়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করতে সবাইকে অনুরোধ করে কর্মশালার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন এবং কর্মসুচির সফলতা কামনা করেন।
উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালার মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনের মাধ্যমে ‘পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি’র কর্মপরিকল্পনা, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া “পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন”এর মাধ্যমে তুলে ধরেন জনাব মোঃ ইজাজুল ইসলাম, টিম ম্যানেজার, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। তিনি বলেন, উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালার অন্যতম উদ্দেশ্য মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তাদের মন এবং বয়স উপযোগী বই পড়ায় আগ্রহী করে তোলা। পাঠাভ্যাসের প্রসার ও সুযোগ বৃদ্ধি করা। কর্মসূচি পরিচালনার জন্য প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন, বইপড়া শেষে মূল্যায়নের ভিত্তিতে পুরস্কার প্রদান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাইব্রেরি টেকসই ও কার্যকর করার লক্ষ্যে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বইপড়ার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে আজকের এই কর্মশালা।
উন্মুক্ত আলোচনায় বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ এবং সংগঠকবৃন্দ অংশগ্রহন করেন। কর্মশালায় উপস্থিত থেকে সমাপনী বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের সভাপতি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জনাব মো: সাইফুল আলম তিনি বলেন, আকাশ সংস্কৃতি ও এনড্রয়েড ফোন থেকে শিক্ষার্থীদের বের করতে হলে এবং সৃজনশীল হওয়ার জন্য বই পড়ার প্রতি আরো বেশি আন্তরিক হতে উপস্থিত শিক্ষকদের আহ্বান করেন। সেই সাথে সভাপতি কর্মশালায় গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য সকল অংশগ্রহণকারীকে আহবান জানান এবং কর্মশালা আয়োজনের জন্য বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সকলকে ধন্যবাদ জানান। এছাড়াও পাবনা সদর উপজেলায় পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির সকল কাজে সার্বিক সহযোগিতা করার আশাবাদ ব্যক্ত করে কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভাপতি মহোদয় কর্মশালা সমাপ্তি ঘোষণা করেন। ধন্যবাদান্তে, বিজয় কৃষ্ণ প্রামানিক, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার, পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র।