নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ গমনেচ্ছুদের জন্য প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এবার প্যাকেজ -১ এ ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। আর প্যাকেজ-২ এ ধরা হয়েছে চার লাখ ৬২ হাজার ২১৫ টাকা। যা গতবারের চেয়ে ১ লাখ টাকা বেশি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার সর্বনিম্ন প্যাকেজ ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৫৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই প্যাকেজে ১৫০০ মিটারের মধ্যে অবস্থান করা যাবে না।

বুধবার (১১ মে) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত বৈঠকে চলতি বছরের জন্য হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়।

সবশেষ হজ প্যাকেজ-১ ছিল ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা। আর প্যাকেজ-২ এ ছিল ৩ লাখ ৬০ হাজার। এবার প্যাকেজ-১ এ ১ লাখ ২ হাজার ৩৪০ টাকা আর প্যাকেজ-২ এ ১ লাখ ২ হাজার ১৫০ টাকা বেশি ঘোষণা করা হয়েছে।

এ সময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘হজযাত্রীর বিমান ভাড়া, সৌদি আরবে বাড়ি ভাড়া, সার্ভিস চার্জ, মুয়াল্লিম ফি, জমজমের পানি.., খাবার খরচ এবং অন্যান্য ফি হিসাব করে ২০২২ সালের জন্য দু’টি প্যাকেজ এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির জন্য একটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ অংশে কোনো ধরনের ব্যয় বাড়ানো হয়নি। তবে সৌদি আরবের অংশ থেকে সকল খাতের ওপরে ১৫% ভ্যাট এবং সার্ভিস চার্জেও কর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর আগে, ২০২০ সালের হজ প্যাকেজ তিনটি ঘোষণা করা হলেও এবার দু’টি প্যাকেজেই সবাই হজ পালন করবেন।’

সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ২০২০ সালের তিনটি প্যাকেজের যেকোনো একটিতে নিবন্ধিত হজ যাত্রীকে ২০২২ সালের জন্য ঘোষিত প্যাকেজ ১ বা ২ এর যেকোনো একটি প্যাকেজ নির্বাচন করে প্যাকেজ স্থানান্তরের মাধ্যমে ২০২২ সালের নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে…। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ই-হজ সিস্টেমের প্যাকেজ স্থানন্তের টাকা পেল কি না তা নিশ্চিত করবে।

টাকা নিশ্চিত হওয়ার পর যাত্রীকে পিলগ্রিম আইডি দেওয়া হবে। যদি কোটা খালি থাকে তবে কোটা পূরণের জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধনের ক্রমানুসারে পরিচালক হজ অফিস ঢাকার অনুমোদন নিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন করতে পারবেন। আর যারা ২০২০ সালে নিবন্ধন করেছেন কিন্তু এবার হজে যাবেন না তারা তাদের অর্থ ফেরত পাবেন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে…। এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার আর বেসরকারি ব্যাবস্থাপনায় ৫৩ হাজার ৫৮৫ জনসহ মোট ৫৮ হাজার ৫৮৫ জন হজ পালনের সুযোগ পাবেন।

উল্লেখ্য, করোনা মহামারির কারণে ২০২০ এবং ২০২১ সালে কোনো হজযাত্রী সৌদি আরবে যেতে পারেননি। ২০২০ সালে হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হলেও বাংলাদেশ থেকে হজে যেতে পারেননি ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জন।