জাতীয় সংবাদ | তারিখঃ মে ৬, ২০২২ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 792 বার
ডেস্ক রিপোর্ট : ৪৭ হাজার ৪৪ মেট্রিক টন সয়াবিন ও পাম-তেল নিয়ে চারটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। শুক্রবার (৬ মে) বন্দরের সচিব ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান, বহির্নোঙর থেকে জেটিতে আসার পর খালাস প্রক্রিয়া শুরু হবে। জাহাজ চারটির মধ্যে, ওনিয়েন্ট চ্যালেঞ্জ ২১ হাজার মেট্রিক টন, এন এস স্টিলা ৭ হাজার মেট্রিক টন, মেঘনা প্রাইড জাহাজ সাত হাজার ৭৯৯ মেট্রিক টন ও সানজিন ১১ হাজার ২৪৫ মেট্রিক টন নিয়ে বহির্নোঙরে ভিড়েছে।
এর আগে ২ মে ২ কোটি ২৯ লাখ লিটার অপরিশোধিত সয়াবিন তেল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়েছে এমভি ওরিয়েন্ট চ্যালেঞ্জ নামে সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী একটি জাহাজ। এরই মধ্যে জাহাজটির তেল খালাস শেষ হয়েছে। সিটি গ্রুপ, সেনাকল্যাণ এডিবল অয়েল, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল ও বসুন্ধরা গ্রুপ এসব সয়াবিন তেল আমদানি করে থাকে।
সিপিএর তথ্য অনুযায়ী, সিঙ্গাপুর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রায় ২২ দশমিক ৯ মিলিয়ন লিটার সয়াবিন তেল এসেছে এবং শুক্রবার ইন্দোনেশিয়া থেকে আরও ১৩ হাজার টন পাম তেল আসবে। জানা গেছে, সিঙ্গাপুর থেকে ২২ দশমিক ৯ মিলিয়ন লিটার অপরিশোধিত সয়াবিন তেল নিয়ে এমভি ওরিয়েন্ট চ্যালেঞ্জ জাহাজটি গত ২৬ এপ্রিল যাত্রা শুরু করে বৃহস্পতিবার (৫ মে) রাতে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। অন্যদিকে ইন্দোনেশিয়ার পতাকাবাহী এমটি সুমাত্রা পাম জাহাজটি ১৩ হাজার টন পাম তেল নিয়ে ২৬ এপ্রিল দেশটির লুবুক গিয়াং বন্দর থেকে যাত্র শুরু করেছে। এই জাহাজটি আজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে।
সিপিএ সেক্রেটারি উমর ফারুক জানান, বৃহস্পতিবার রাতে সয়াবিন তেল নিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে। দেশের শীর্ষ চার কোম্পানি সিটি গ্রুপ, সেনাকল্যাণ ভোজ্যতেল, বাংলাদেশ ভোজ্যতেল ও বসুন্ধরা গ্রুপ এ তেল আমদানি করেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশে ইন্দোনেশিয়ার জাহাজের স্থানীয় এজেন্ট মোহাম্মদি ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক কাজী আবু নাঈম জানান, এমভি সুমাত্রা পাম জাহাজটি শুক্রবার চট্টগ্রাম বন্দরে আসার কথা রয়েছে।
ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের শীর্ষ পাম তেল রপ্তানিকারক দেশ। বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় পাম তেলের প্রায় ৯০ শতাংশই ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করে থাকে। দেশটি (ইন্দোনেশিয়া) ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে পাম তেল রফতানি নিষিদ্ধ করেছে। বাংলাদেশ বছরে প্রায় ১ দশমিক ৩ মিলিয়ন টন পামতেল আমদানি করে। এর ৯০ শতাংশ ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা হয়। আর বাকি ১০ শতাংশ আসে মালয়েশিয়া থেকে।