জাতীয় সংবাদ | তারিখঃ এপ্রিল ২৫, ২০২২ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 3512 বার
ডেস্ক রিপোর্ট : বর্তমানে দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও পার্শ্ববর্তীদেশসহ এশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ভাইরাসটির সংক্রমণ আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়াকে উদ্বেগজনক উল্লেখ করেছে সরকারের করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। একইসঙ্গে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারকে ৬ দফা সুপারিশ করেছে। সোমবার (২৫ এপ্রিল) কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই উদ্বেগ জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৫৭তম সভা গত ২৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টায় অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা। সভাপতি জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির নতুন সদস্যদের স্বাগত জানান এবং বিদায়ী সদস্যদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সভার কার্যক্রম শুরু করেন।
সভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ার কারণ এবং দেশে সংক্রমণের হার ভবিষ্যতে নিয়ন্ত্রণে রাখতে করণীয় বিষয়ে কারিগরি পরামর্শক কমিটির মতামত জানতে চেয়েছে বলে জানানো হয়। এ বিষয়ে সভায় কমিটির সব সদস্যদের উপস্থিতিতে বিস্তারিত আলোচনা শেষে সুপারিশগুলো তুলে ধরা হয়।
১. বাংলাদেশে কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও পাশের দেশসহ এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী, যা উদ্বেগজনক। জাতীয় কারিগরি কমিটি আশঙ্কা করে এখন থেকেই সতর্ক না হলে দেশেও সংক্রমণ বাড়তে পারে। তাই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সঠিকভাবে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করাসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। একইসঙ্গে সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে প্রচার-প্রচারণা বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়েছে।
২. যেসব দেশে সংক্রমণের হার বেশি, সেই দেশগুলো থেকে বাংলাদেশে আগমনের ক্ষেত্রে টিকা নেওয়া থাকলেও কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিশ্চিত করা এবং সব বন্দরে জনগণের প্রবেশ পথে স্ক্রিনিং জোরদারকরণের পরামর্শ দেওয়া হয়।
৩. আসন্ন ঈদুল ফিতরে বাজার, কেনাকাটা এবং ঘরমুখী মানুষের যাতায়াতের সময় মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া তারাবির নামাজ ও ঈদ জামাতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
৪. কোভিড-১৯ মোকাবিলায় হাসপাতালগুলোকে সতর্ক করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হাসপাতালগুলোর সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে সভা আয়োজন করে এই বিষয়ক প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
৫. কোভিড নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা আয়োজন করে সবাইকে করোনা নিয়ন্ত্রণে সতর্কাবস্থানে থাকার সুপারিশ করা হয়।
৬. সভায় জিনোম সিকোয়েন্সিং ও সার্ভেলিয়েন্স জোরদার করার সুপারিশ করা হয়।