শার্শা : যশোরের শার্শায় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে সাংবাদিকসহ ৯৪ জনের নাম উল্লেখ কারে অজ্ঞত আরো ৩০/৩৫ জনের নামে শার্শা থানায় একটি মিথ্যা ও হয়রানী মূলক মামলা করা হয়েছে। গত ১৪ ডিসেম্বর শার্শা উপজেলার নাভারন দক্ষিন বুরুজ বাগান গ্রামের আব্দুস শুকুর আলীর ছেলে ছাত্রদল নেতা সাজেদুর রহমান সাজু বাদী হয়ে এ মামলাটি করেছেন।

এ মামলায় প্রতিহিংসা মূলক শার্শা প্রেসক্লাবে’র সভাপতি দৈনিক ভোরের কাগজ, ডেইলি অবজারভার এবং দৈনিক স্পন্দন পত্রিকার প্রতিনিধি ইয়ানুর রহমানকে ২৬ নং আসামী করা হয়েছে।

এ ঘটনায় শার্শা প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ নিন্দা জানিয়ে ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিবৃতি দিয়েছেন। শার্শা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আব্দুল মুন্নাফ, সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা, যুগ্ম-সম্পাদক আসাদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ওসমান গনি, প্রচার সম্পাদক আতিয়ার রহমান, ক্রীয়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান, জুলফিকার আলী জুলু, আরিফুর রহমান ও মেহেদী হাসান।

উল্লেখ্য, এই মামলায় শার্শার সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শেখ আফিল উদ্দিনসহ ৯৪ জনের নাম উল্লেখ কারে অজ্ঞত আরো ৩০/৩৫ জনের নামে শার্শা থানায় একটি মিথ্যা ও হয়রানী মূলক মামলা করা হয়েছে।

বাদী সাজেদুর রহমান সাজু মামলায় বলেছেন, ১৪ ডিসেম্বর রাত্র অনুমান ০৯ টার সময় শার্শা থানাধীন যাদবপুর সাকিনস্থ বুরুজবাগান ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সামনে পাকা রাস্তার উপর উল্লিখিত আসামীগন সমাবেত হইয়া ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে নাশকতা মূলক কর্মকান্ড করার জন্য একত্রিত হয়েছিল। উক্ত স্থানে অধিক সংখ্যক লোকের সমাগমের বিষয়ে জানার জন্য আমি ও স্থানীয় লোকজন সেখানে গেলে আসামীরা আমাদের উপস্থিতি টের পাইয়া তাদের মধ্যে হতে আমাদের দিকে লক্ষ্য করিয়া দুইটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। ফলে আমি সহ উপস্থিত লোকজন আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার চেচামেচি করিলে আসামীরা বিভিন্ন দিক দিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় আমরা ১৪নং আসামী মোঃ সাকিব’কে আটক করিয়া শার্শা থানা পুলিশকে সংবাদ দেই। থানা পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে আসামীকে হেফাজতে নেয় ও ঘটনাস্থল হতে বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ বিশেষ জব্দ করেন।

এদিকে এই মামলায় সাংবাদিক ইয়ানুর রহমানকে আসামি করায় সাধারণ মহলে নানা সমালোচনা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক মামলার আসামি করায় সাংবাদিকরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।