ডেস্ক রিপোর্ট : দেশে করোনা ভাইরাসে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় মারা গেলেন মোট ২৯ হাজার ১২৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৪৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫২ হাজার ১০৯ জনে। শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৭১ শতাংশ। আজ সোমবার (১১ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এদিকে শ্বিজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও মারা গেছেন ১ হাজার ৬৭৪ জন। এতে ভাইরাসটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬২ লাখ ৩ হাজার ৩২২ জন। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৬ লাখ ৩১ হাজার ৯৪৬ জন। এত মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯ কোটি ৯১ লাখ ৩২ হাজার ৫৩২ জন। এদিন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৬৮০ জন। এতে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৪ কোটি ৮৪ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩১ জন। সোমবার (১১ এপ্রিল) করোনাভাইরাসের আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডেমিটার্স থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬৪ হাজার ৪২১ জন এবং এই রোগে মৃত্যু হয়েছে ৩২৯ জনের। বিশ্বের অন্য কোনো দেশে এইদিন এত সংখ্যক আক্রান্ত-মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। রবিবার সংক্রমণ-মৃত্যুর উচ্চহার দেখা গেছে, সেসব দেশ হলো— ফ্রান্স (নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ৭ হাজার ৬৫৪ জন, মৃত ৪৫ জন), ইতালি (নতুন আক্রান্ত ৫৩ হাজার ২৫৩ জন, মৃত ৯০ জন), জাপান (নতুন আক্রান্ত ৫২ হাজার ১৬২ জন, মৃত ৫৬ জন), অস্ট্রেলিয়া (নতুন আক্রান্ত ৪৪ হাজার ১১৪ জন, মৃত ১৪ জন) রাশিয়া (মৃত ২৫৯ জন, নতুন আক্রান্ত ১৩ হাজার ৫৬ জন) ও মেক্সিকো (মৃত ১২৫ জন, নতুন আক্রান্ত ২ হাজার ৭১২ জন)।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে। তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।