নিজস্ব প্রতিবেদকঃ এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবার জিপিএ ৫ পেয়েছেন এক লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন। পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ১১টি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ বোর্ডের ফল প্রকাশের ঘোষণা দেন।

একই সঙ্গে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের ফলাফল দেওয়ার পাশাপাশি আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের ফলাফলের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।

ফলাফল অনুযায়ী ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ২১ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৮১ দশমিক ২৪ শতাংশ, যশোর বোর্ডে ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৭১ দশমিক ১৫ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৮৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৮১ দশমিক ৮৫ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৭৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৬৩ দশমিক ২২ শতাংশ, মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে ৯৩ দশমিক ৪০ শতাংশ, কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে ৮৮ দশমিক ৯ শতাংশ।

যেভাবে জানা যাবে ফল

এবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটের পাশাপাশি যেকোনো মোবাইল থেকে এসএমএস করে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল জানা যাবে।

ঢাকা শিক্ষাবোর্ড বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইট (dhakaeducationboard.gov.bd) ও বোর্ডগুলোর সমন্বিত ওয়েবসাইটে (educationboardresults.gov.bd) গিয়ে রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম এন্ট্রির পর প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ফলাফল নামানো যাবে।

এছাড়া পরীক্ষার্থীরা রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর টাইপ করে ফল জানতে পারবেন। ফল প্রকাশের পর মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও তা জানা যাবে।

এইচএসসির ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষাবোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২৪ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে আসবে ফল।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন এবং সরকার পতনের পরের ঘটনাপ্রবাহে এবার উচ্চ মাধ্যমিকের সাতটি বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়ার পর বাকিগুলো আর নেওয়া সম্ভব হয়নি। কিছু শিক্ষার্থীর দাবির মুখে পরে বাকি পরীক্ষা নেওয়া হবে না বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা দেয়।

চলতি বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ৩০ জুন। তবে বন্যার কারণে সিলেট বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয় ৯ জুলাই। এবারের এইচএসসিতে সব মিলিয়ে অংশ নিয়েছে ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ পরীক্ষার্থী। নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১১ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জন। অন্যদিকে আলিম পরীক্ষায় অংশ নেয় মোট ৮৮ হাজার ৭৬ জন। এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল) ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪৩৩ জন।