সারাবিশ্ব | তারিখঃ এপ্রিল ৩, ২০২২ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 4680 বার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সুপারিশে জাতীয় পরিষদ (সংসদ) ভেঙে দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এর পর থেকেই দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠেছে। বিরোধীরা আইনসভার অধিবেশন পুনরায় শুরু করেছেন। তারা ডেপুটি স্পিকারের অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের আদেশকে অবৈধ ঘোষণা করার পাশাপাশি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে একতরফা নতুন প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন।
সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর রবিবার অধিবেশন করেন বিরোধীরা। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ শরিফকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা দেয় বিরোধীরা। এই অধিবেশনে নিজেকে প্রধানমন্ত্রী মেনে নিয়ে ভাষণ দেন শাহবাজ শরিফও।
এদিকে পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা শেরি রেহমান টুইটারে পোস্ট করা ভিডিও বার্তায় দাবি করেন, ১৯৭ জন সংসদ সদস্য পিএমএল-এন এমপি আয়াজ সাদিককে নতুন স্পিকার হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। সাদিক স্পিকারের চেয়ারে অধিষ্ঠিত হওয়ার পর ইমরান খান সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটাভুটি পুনরায় সক্রিয় করেন।
ইমরান খানকে সরাতে মার্চের শেষ সপ্তাহে সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন বিরোধীরা। যার ওপর আজ রবিবার ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। তবে ভোটাভুটির দিনই ওই অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন দেশটির ডেপুটি স্পিকার কাশিম খান সুরি। দেশটির সংবিধানের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে এই অনাস্থা প্রস্তাব অবৈধ হওয়ায় তা খারিজ করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে সংসদও মুলতবি করা হয়েছে। একই সঙ্গে ইমরান খানের অনুরোধে দেশটির পার্লামেন্ট ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। তবে বিরোধীরা স্পিকার ও প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে পুনরায় অধিবেশনের আহ্বান জানায়।
শাহবাজ শরিফ এবং বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিসহ বিরোধী নেতারা স্পিকার ও প্রেসিডেন্টের পদক্ষেপকে অসাংবিধানিক বলে অভিহিত করেছেন। তারা স্পিকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন। ইতিমধ্যে সংসদ ভেঙে যাওয়ায় তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা। পাকিস্তানের সংবিধানের ২২৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি এখন একজন তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করবেন।
এদিকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী দেশটির জাতীয় পরিষদে উদ্ভূত ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। সেনাবাহিনীর জনসংযোগ শাখার প্রধান মেজর জেনারেল বাবর ইফতিখারের বরাতে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সেনাবাহিনীর কোনো সম্পর্ক নেই।