ইয়ানূর রহমান : আরো ছয়টি হত্যা মামলা করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে। ঢাকার বিভিন্ন থানায় বুধবার (২১ আগস্ট) মামলাগুলো করা হয়।

এর মধ্যে মিরপুর, রামপুরা ও সূত্রাপুর থানায় তিনজন নিহতের ঘটনায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করা হলে সংশ্লিষ্ট তিন থানাকে মামলা গ্রহণের নির্দেশ দেন আদালত। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অভিযোগগুলোকে এজাহার হিসেবে রেকর্ড করতে বলা হয়।

তিনটি এজাহারের বক্তব্য মোটামুটি একই। যাতে বলা হয়েছে, কোটা সংস্কার আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী এবং পুলিশ সদস্যরা আন্দোলনকারীদের এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন। যার নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

মিরপুর-১০ গোল চত্বরে র‌্যাবের হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া গুলিতে রংপুর ক্যামিকেল লিমিটেডের অফিস সহকারী ফিরোজ তালুকদার হত্যার অভিযোগে করা মামলায় শেখ হাসিনাকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আসামি করা হয়।

রামপুরার মামলায় রাসেল মিয়া নামে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী এবং সূত্রাপুর থানার মামলায় এলেম আল ফায়দি নামে একজন টেকনিশিয়ানকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

ওপরের তিনটি ছাড়া তেজগাঁও এলাকায় পুলিশের গুলিতে মো. তৌহিদুল হক নামে এক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৪৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালতে তৌহিদের বড় ভাই তারিকুল ইসলাম এ মামলা করেন। আদালত তেজগাঁও থানা পুলিশকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।

নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ নিহতের ঘটনায় নিউ মার্কেট থানার একটি মামলায় শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। মিরপুর এলাকায় ১৯ জুলাই মো. আকরাম খান রাব্বি নামে একজন পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এই ঘটনায়ও এজাহারে আসামি হিসেবে উল্লেখ রয়েছে শেখ হাসিনার নাম।