ডেস্ক রিপোর্ট : কাজে দিচ্ছে না শেখ হাসিনার অন্য কোনো দেশে যাওয়ার চেষ্টা। সিএনএন নিউজ- ১৮জানিয়েছে, ফলে তিনি আপাতত ভারতেই থাকছেন। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন ।

সেখান থেকে তার লন্ডনে আশ্রয় নেয়ার পরিকল্পনা থাকলেও ব্রিটেন তাকে আশ্রয় দিতে রাজি না হওয়ায় তা থমকে গেছে। এ কারণে শেখ হাসিনা ভারতেই থাকছেন বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের সহযোগী সংস্থা নিউজ-১৮।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছে, শেখ হাসিনা ভারতেই থাকবেন। তবে তিনি ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেবেন না। এর বদলে ভারতের ভিসার মাধ্যমে দেশটিতে অবস্থান করবেন।

নিউজ-১৮ এ ব্যাপারে বলেছে, শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আশ্রয়ের ব্যাপারে আমরা আমাদের সূত্রের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, মনে রাখবেন এটি সিএনএন নিউজ-১৮ এর এক্সক্লুসিভ- বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে দীর্ঘ সময়ের জন্য অবস্থান করতে যাচ্ছেন।

এর আগে শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার চেষ্টা করেছেন। তবে যুক্তরাজ্য তাতে সম্মতি দেয়নি বলে জানা গিয়েছিল। এরপর যুক্তরাষ্ট্রও শেখ হাসিনার ভিসা বাতিল করে। পরে তিনি সৌদি আরব বা সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল।

নিউজ-১৮ বলেছে, হাসিনা ভিসার মাধ্যমে ভারতে অবস্থান করবেন। কারণ ভারতে কোনো শরণার্থী বা সাহায্যপ্রার্থীর আইন নেই।

নিউজ-১৮ এর সাংবাদিক জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যে হাসিনা রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিলেন সেটি আপাতত বাতিল করা হয়েছে। কারণ যুক্তরাজ্য এ ব্যাপারে কোনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রও তার ভিসা বাতিল করেছে। হাসিনাকে আশ্রয় না দিতে যুক্তরাজ্যের উপর ইউরোপের অন্য দেশগুলো চাপ দিচ্ছে।

তবে ভারত সরকার শেখ হাসিনাকে বলেছে, যতদিন পর্যন্ত তিনি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ঠিক না করছেন ততদিন পর্যন্ত ভারতেই অবস্থান করতে পারবেন।

গণআন্দোলনের পর তড়িঘড়ি করে গত সোমবার (৫ আগস্ট) ছোট বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে ভারতে চলে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রাথমিক অবস্থায় হাসিনার পরিকল্পনা ছিল- প্রথমে ভারতে যাবেন। দেশটিতে অল্প সময় অবস্থান করে উড়াল দেবেন যুক্তরাজ্যে। কারণ তার বোন শেখ রেহানা এবং তার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের নাগরিক। তবে সেটি হয়নি।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে টানা ৩৬ দিনের বিক্ষোভে ৪০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হওয়ার পর গত সোমবার ৭৬ বছর বয়সী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাকে ৪৫ মিনিটের আলটিমেটাম দেয়ার পর তিনি ঢাকা থেকে ভারতে চলে যান।