শিক্ষাঙ্গন | তারিখঃ জুলাই ১৬, ২০২৪ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 2182 বার
সাঈদ ইবনে হানিফ: আমরা জানি রাজাকার শব্দটি স্বাধীন বাংলাদেশ পরবর্তী সময়ের প্রজন্মের জন্য সবচেয়ে একটি ঘৃণিত শব্দ।
তাহলে এতদিন পর শিক্ষার্থীরা আজ নিজেদেরকে রাজাকার বলছে কেন? স্বচেতন দেশ বাসী হয়তো অবগত আছেন, কোটা বৈষম্যের শিকার হয়ে দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা গত কয়েক দিন ধরে তা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, সেই ন্যায় সংগত দাবি পাশ কাটিয়ে দেশের বুদ্ধিজীবী খ্যাত শীর্ষ পর্যায় থেকে শিক্ষার্থী সমাজকে রাজাকার সহ বিভিন্ন অপবাদ দিচ্ছেন।
তারই প্রতিবাদে- সীমাহীন দুঃখকষ্ট বুকে নিয়ে বেকারত্বের অভিশাপে জর্জরিত, অধিকারবঞ্চিত শিক্ষার্থী সমাজ, নিজেদেরকে এই “রাজাকার” বলাটা একটা চরম অপমানের বোধগম্য থেকে শক্তিশালী আয়রনি, প্রতিবাদ অবস্থানের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। দেশের শীর্ষ পর্যায় থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে এমন কিছু মন্তব্য করা হয়েছে যা তাদের কাম্য ছিল না। এসব মন্তব্যর কারণে শিক্ষার্থীরা এক ধরনের অনুরাগের বশবতী হয়ে প্রতিবাদী হয়ে উঠেছেন।
তাদের অনেকেই বলছেন, শিক্ষার্থীরা কোন রাজনৈতিক দলের বলির পাঁঠা হতে চাই না। যুগে যুগে শিক্ষার্থীরা দেশ ও জাতির স্বার্থে ন্যায় সংগত দাবি আদায়ে অগ্রনী ভুমিকা পালন করেছে। তবে আজ কেন তাদেরকে অধিকার আদায়ের কথা বলতে গিয়ে (রাজাকার) অপবাদ শুনতে হবে? কেনো?
১৮-২০ বছর ধরে কষ্ট করে লেখা পড়া করার পর যখন বিভিন্ন কোটা পদ্ধতি দোহাই দিয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের এমন চরম বৈষম্যর স্বীকার হতে হবে? বিভিন্ন মহলের দাবি রয়েছে তাদের উপর অবাঞ্চিত অপবাদের বোঝা চাপিয়ে না দিয়ে সময় উপযোগী একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের সুব্যবস্থা করে শিক্ষার্থীদেরকে পড়ার টেবিলে ফিরে যেতে আহবান করাই-হবে যুক্তিযুক্ত ।