জাতীয় সংবাদ, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা | তারিখঃ মে ৮, ২০২৪ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 4818 বার
গ্রামের সংবাদ ডেস্ক : অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত কোভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকা গ্রহণের কারণে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগে বিশ্বজুড়ে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশে যারা এই টিকা নিয়েছেন, তাদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে কি-না; তা খুঁজে দেখতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
বুধবার (৮ মে) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে “সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণে টিকাদান কর্মসূচি”কে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আয়োজিত সভায় মন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, “বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। কিছু দেশে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা গেছে। আমরাও যেহেতু অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা গ্রহণ করেছি, আমাদের দেশে কারও কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে কি-না, তা খুঁজে দেখতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে এই বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে।”
সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ায় এই টিকা প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে শুনেছেন উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “তবে আমাদের দেশে এরকম কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার রিপোর্ট এখন পর্যন্ত পাইনি। আমি এটা জানার পরে ইতোমধ্যেই ডিজি হেলথকে নির্দেশনা দিয়েছি এবং তারা এটা জরিপ করছে। মানে যাদের এই টিকা দেওয়া হয়েছে তাদের ওপর জরিপ করে আমাকে রিপোর্ট দেবে।”
তিনি বলেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত আমি না জানব আমাদের দেশে কতটুকু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি এই ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না। তবে আমরা এটি নিয়ে কনসার্ন। ওরা (অ্যাস্ট্রাজেনেকা) বলছে, টিকা তুলে নিতে কিন্তু আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত প্রমাণ না পাবো ততক্ষণ পর্যন্ত কীভাবে বলব?”
দেশে যেহেতু এখন পর্যন্ত কোনো উপসর্গ বা ক্ষতিকর কোনো লক্ষণ পাওয়া যায়নি, তাই বাংলাদেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার কার্যক্রম চলবে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তবে বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ তৎপর বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে করোনাভাইরাসের যে টিকা উৎপাদন করে, তার ব্র্যান্ড নাম ভ্যাক্সজেভ্রিয়া। এরপর ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট সেই টিকা উৎপাদনের লাইসেন্স পায়। তারা কোভিশিল্ড নামে সেই টিকা বাজারজাত করে। বাংলাদেশে দেওয়া কয়েক প্রকারের টিকার মধ্যে কোভিশিল্ডও রয়েছে।