খুলনা বিভাগ, জেলার খবর, ঝিনাইদহ | তারিখঃ মে ১৮, ২০২৪ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 4140 বার
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার পোলভাতুড়িয়া গ্রামে শনিবার আওয়ামীলীগ সমর্থিত দুই সামাজিক দলের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২১ জন অহত হয়েছেন।
জানা গেছে, ওই গ্রামের ইউপি সদস্য কুরবান আলী ও সাবেক ইউপি সদস্য কাজি মশিউর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে আহত ১১ জনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল, ৯ জনকে হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও ২জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত বর্তমান ইউপি সদস্য কুরবান আলীসহ ৬ জনকে আটক করেছে হরিণাকুন্ডু থানা পুলিশ।
আহতরা হলেন, ইসরাইল হোসেনের ছেলে হাশেম কাজী (৩৫), হাশর কাজী (৩০), আব্দুলের ছেলে করিম (৫২), মক্কেলের ছেলে পানু (১৯), আনসার কাজীর ছেলে লতিফ কাজী (৪২), আবু তালেবের ছেলে রাহুল (১৮), সিফাতের ছেলে আব্দুল গণি (৭০), সমশের কাজীর ছেলে নজরুল কাজী (৪৮) মৃত সোহরাবের ছেলে মধু (৪৬), বাসারেতের ছেলে শহিদুল (৫৫), মৃত মজিবারের ছেলে বিল্লাল, মিন্টু ও বজলু (৪০), রেশমা খাতুন (৩৫), জগেশ চন্দ্র (২৮) ও রায়হান(৪২) সহ অজ্ঞাত আরো ১২ জন। আহতদের মধ্যে ৯ জনকে উদ্ধার করে হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ইসরাইল কাজীর ছেলে হাসেম কাজীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি ১১ জনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে বিল্লাল ও মিন্টুর অবস্থার অবনতি হলে তাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। গ্রামবাসি সুত্রে জানা গেছে, গত ১১মে হরিণঅকুন্ডুর পোলভাতুড়িয়া গ্রামের আজিবর রহমানের বাড়ির বৃষ্টির পানি প্রতিবেশী মশিউর কাজীর উঠান দিয়ে খালে বের করা নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয়পক্ষের ৭ জন আহত হয়েছিল। এ ঘটনায় থানায় মামলাও হয়। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান উভয়পক্ষের সম্মতিতে বিষয়টি মীমাংসা করে দিরেও আজ শনিবার (১৮ মে) সকাল ৯টার দিকে হাশেম কাজী মাঠে ধান কাটতে গেলে প্রতিপক্ষ বর্তমান ইউপি সদস্য কুরবান মেম্বরের দুই ভাই তাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। এসময় হাশেম কাজী ও হাসর কাজী দায়ের কোপে আহত হন। এ খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে উভয় পক্ষের ২১ জন্য আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শরাফত দৌলা ঝন্টু বলেন, বৃষ্টির পানি বের করা নিয়ে ঘটনার সুত্রপাত। রেশারেশি থেকে শনিবার আবারো দুই গ্রুপ মারামারিতে লিপ্ত হয়। এতে অনেকে আহত হয়েছেন। সবাইকে উদ্ধার করে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হরিণাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, দু’পক্ষের সংঘর্ষে অনেকে আহত হয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইউপি সদস্য কুরবান আলীসহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে এবং মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।