সারাবিশ্ব ডেস্ক : পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে পরাজয়ের পর দেশটির রাজনীতি থেকে বিদায় নিলেন জাহাঙ্গীর খান তারিন। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)- এর শীর্ষ একজন নেতা ছিলেন জাহাঙ্গীর। যার বিশ্বাসঘাতকায় ২০২২ সালে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান।

ওই বছর দেশটির পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বিদায় নিতে হয় বিশ্বকাপজয়ী এই তারকাকে। সে সময় জাতীয় পরিষদের ৩৪২ জন সদস্যের মধ্যে ১৭৪ জন সদস্য তার প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে ভোট দিয়েছিলেন। পাকিস্তানের ইতিহাসে ইমরান খানই একমাত্র প্রধানমন্ত্রী, যাকে অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়ে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে।

ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনের নাটের গুরু ছিলেন জাহাঙ্গীর খান তারিন। যাকে পিটিআইয়ের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে ধরা হতো। ইমরান খানের দল পাকিস্তানে ক্ষমতায় আসার পর দুই নেতার মধ্যে বনিবনা কমতে থাকে। এক সময় দলের ভেতরেই নিজ অনুসারীদের নিয়ে আলাদা একটি গোষ্ঠী গঠন করে তাদের মাধ্যমেই ইমরানকে ক্ষমতাচ্যুত করেন কয়েক শ মিলিয়ন ডলারের মালিক জাহাঙ্গীর তারিন।

ইমরান খানের দুঃসময়ে পিটিআই ছেড়ে ইস্তেহকাম-ই-পাকিস্তান (আইপিপি) নামক দল গঠন করেন জাহাঙ্গীর তারিন। জামায়াত-ই-ইসলামীর আমির সিরাজুল হক পদত্যাগ ঘোষণার পরই রাজনীতি থেকে বিদায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান তারিন।

মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে তারিন লিখেছেন, ‘এই নির্বাচনে যারা আমাকে সমর্থন করেছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি আমার বিরোধীদের অভিনন্দন জানাতে চাই। পাকিস্তানের জনগণের ইচ্ছার প্রতি আমার অগাধ শ্রদ্ধা আছে।’

আইপিপি সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তারিন জানান, তিনি ব্যক্তিগত ক্ষমতায় দেশের সেবা করবেন। এদিকে, সিরাজ বলেছেন, তিনি ৮ ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে ‘পরাজয়ের দায় স্বীকার করেছেন’।

পাকিস্তানের পার্লামেন্টে ২০২২ সালের ১০ এপ্রিল অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বিদায় নেন ইমরান খান। সেই সময় জাতীয় পরিষদের ৩৪২ জন সদস্যের মধ্যে ১৭৪ জন সদস্য তার প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে ভোট দিয়েছিলেন। পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ককে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনের ‘নাটের গুরু’ ছিলেন এক সময়ের বিশ্বস্ত সঙ্গী জাহাঙ্গীর খান তারিন।

১৯৫৩ সালে আজকের বাংলাদেশের কুমিল্লায় জন্ম নেওয়া তারিনকে পিটিআইয়ের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলা হতো। দল ক্ষমতায় আসার পর দুই নেতার মধ্যে বনিবনা কমতে থাকে। এক সময় দলের ভেতরেই নিজ অনুসারীদের নিয়ে আলাদা একটি গোষ্ঠী গঠন করে তাদের মাধ্যমেই ইমরানকে ক্ষমতাচ্যুত করেন জাহাঙ্গীর তারিন।