আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাড়ির সীমানা প্রাচীরে এসে ঘুমিয়ে পড়ে একটি বাঘ, টের পেয়েই ভিড় জমান গ্রামবাসী। রাতভর পাহারা দেওয়া হয় বাঘটিকে। এমনই চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের পিলিভিটে আটকোনা গ্রামে।

বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাতে সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ বাড়ির সীমানা প্রাচীরে বড়সড় কিছু একটা দেখেন জসবিন্দ সিং। প্রথমে বুঝতে না পারলেও পরে ভালো করে তাকিয়ে দেখেন সেটা একটা বাঘ।

কিছুক্ষণের মধ্যেই পুরো গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে এই ঘটনা। একে একে সবাই জড়ো হন জসবিন্দরের বাড়ির কাছে। জ্বালানো হয় আগুন। লাঠি হাতে সবাই সিদ্ধান্ত নেন রাত জেগে পাহারা দেবেন বাঘটিকে।

কিন্তু আশপাশে জড়ো হওয়া উৎসাহী মানুষকে নিয়ে খুব একটা ভাবিত ছিল না বাঘটি। সে তার মতো ঘুমিয়েছে। পরে খবর পেয়ে বাঘটিকে উদ্ধার করেন বন দপ্তরের কর্মকর্তারা।

ওই রাতের ঘটনা প্রসঙ্গে জসবিন্দ সিং বলেন, খুব চিন্তা হচ্ছিল। ভাগ্যিস বাড়িতে খুব বেশি লোক ছিল না। পুলিশ, বনবিভাগ সবাইকে ক্রমাগত ফোন করছিলাম। তাদের ফোন করে বললাম আমার বাড়ির প্রাচীরে বাঘ ঘুমাচ্ছে। হাতের কাছে যা ছিল সেটা ছুঁড়তে থাকি। কিন্তু ভয়ও হচ্ছিল যদি ভয় পেয়ে বাঘটা পালানোর সময় কাউকে আক্রমণ করে।

তিনি বলেন, আমার ছেলে দৌড়ে এসে বলল বাবা প্রাচীরে বাঘ বসে আছে। আমি বিশ্বাসই করিনি। এরপর ভাইপোও একই কথা বলল। আমি গিয়ে দেখলাম সত্যিই একটা বাঘ বসে। নিজের চোখকে বিশ্বাসই হচ্ছিল না। গ্রামের ঢোকার রাস্তায় বা আখের ক্ষেতের কাছে বাঘ দেখা গেলেও গ্রামের একেবারে ভেতরে কখনও চলে আসেনি তারা।

সকাল হতেই আশপাশের গ্রাম থেকে কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হন। ততক্ষণে প্রাচীরেই ঘুমিয়ে পড়েছে বাঘটি। পরে বন দপ্তরের কর্মীরা বাঘটিকে আয়ত্তে আনেন। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যঘ্রপ্রকল্প কেন্দ্রের পশু হাসপাতালে।

সূত্র : বিবিসি বাংলা।