আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেন প্রায় ২ বছরে ৩ লাখেরও বেশি সেনা কর্মকর্তা ও সদস্য হারিয়েছে। গত শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) রুশ সংবাদ মাধ্যম আরটি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানান দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সাবেক উপদেষ্টা অ্যালেক্সেই অ্যারেস্তোভিচ।

ইউক্রেনকে সদস্যপদ দেয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর গড়িমসি মনোভাবের সমালোচনা করে অ্যারেস্তোভিচ বলেন, ‘কোথায় ন্যাটো? তারা কি আদৌ আমাদের গ্রহণ করবে? গত দুই বছরের যুদ্ধে আমাদের তিন লাখেরও বেশি সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। আর কত ক্ষয়ক্ষতির পর আমরা (ন্যাটোর) সদস্যপদ পাবো?’

মিনস্ক চুক্তি স্বাক্ষরের ৬ বছর পেরোনোর পরও ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি না দেয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য তদ্বিরের অভিযোগে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেই অভিযান এখনো চলছে এবং গত দুই বছরের যুদ্ধে লাখ লাখ সেনা সদস্যের পাশাপাশি নিহত হয়েছেন হাজার হাজার বেসামরিক লোকজনও।

স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য গত বছর দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে শান্তি সংলাপের আয়োজন করেছিল তুরস্ক। কিন্তু কিছুদূর যাওয়ার পর সেই আলোচনা ভেস্তে যায়। ইউক্রেনের এমপি ডেভিড আরখামিয়া সম্প্রতি সেই আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার জন্য যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে দায়ী করেছেন।

আরটি নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে পরোক্ষভাবে ডেভিড আরখামিয়াকে সমর্থন করেছেন অ্যারেস্টোভিচ। তিনি বলেন, ‘সেই শান্তি সংলাপে ইউক্রেনের প্রতিনিধি দলের মধ্যে আমিও ছিলাম। সংলাপ থেকে নিজেদের প্রত্যাহারের যে সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছিলাম, তা সঠিক ছিল না বলেও তিনি জানান।’