গ্রামের সংবাদ ডেস্ক : ইউক্রেনের অলভিয়া সমুদ্রবন্দরে আটকেপড়া বাংলাদেশি জাহাজ ‘এম ভি বাংলার সমৃদ্ধি’র জীবিত ২৮ নাবিক দেশে ফিরছেন। তারা এখন রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে পৌঁছেছেন। সেখানে একটি হোটেলে অবস্থান নিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার (৮ মার্চ) রাত ১০টার দিকে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন। কাল দুপুরে তাদের দেশে এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সঙ্গে নিহত নাবিক হাদিসুরের লাশও পাঠানো হবে। তবে তাদের সেই জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ এখন ইউক্রেনের অলিভ বন্দরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।

মঙ্গলবার (৮ মার্চ) দুপুরে সময় গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) মহাব্যবস্থাপক (চার্টার) ক্যাপটেন মুজিবুর রহমান।

এর আগে সোমবার (৭ মার্চ) তিনি বলেছিলেন, ‘সেই ২৮ নাবিক সুস্থ অবস্থায় এখন রোমানিয়ায় আছেন। সেখানে বাংলাদেশ দূতাবাস তাদেরকে দেখভাল করছে। এখন তাদেরকে দেশে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। সবাইকে একই ফ্লাইটে আনা সম্ভব না হলেও গ্রুপভিত্তিক নিয়ে আসা হবে। তবে ক্যাপ্টেন হাদিসুরের লাশ ফ্রিজিং করা অবস্থায় এখনো ইউক্রেনে আছে। সেটি রাতের মধ্যে রোমানিয়ায় আনার চেষ্টা করবো। প্রথম গ্রুপের সঙ্গে লাশটাও নিয়ে আসার চেষ্টা থাকবে।’

বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের এখন কি অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটার অবস্থা ভালো নয়। বলতে গেলে অনেকটা ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এখন সেটি ইউক্রেনের অলিভ বন্দরের ইনার অ্যাংকারেজে পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। যতোটুকু জানি ইঞ্জিন, পাওয়ার সিস্টেম ডেমজড হয়েছে। জাহাজের নেভিগেশন ব্রিজ (নিয়ন্ত্রণ কক্ষ) পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে পুরোপুরি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তো এখন জানা সম্ভব নয়। যুদ্ধ থামুক। সবকিছু স্বাভাবিক হলে এখান থেকে ক্যাপ্টেন, ইঞ্জিনিয়ারদের পাঠিয়ে সরজমিন দেখে বিস্তারিত বলা যাবে।’

এদিকে জাহাজ ইউক্রেনে আটকে যাওয়ার ঘটনা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) এর অদূরদর্শিতাকে দায়ী করছেন অনেকে। আর জাহাজে হামলার পর যেভাবে উদ্যোগ নিয়ে তাদেরকে সরিয়ে নেয়া হলো, সেটি কেন আগে করা হয়নি সেটা নিয়েও প্রশ্ন ছুড়েছেন অনেকে। তবে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের দাবি, জাহাজটি এই অবস্থায় না পাঠিয়ে উপায় ছিলো না তাদের।