খুলনা বিভাগ, জেলার খবর, যশোর | তারিখঃ নভেম্বর ২৫, ২০২৩ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 2540 বার
আশরাফুজ্জামান বাবু, স্টাফ রিপোর্টার : যশোরের বিভিন্ন মহাসড়কে বাংলাদেশ রেলওয়ের অনুমোদিত রেলক্রসিং আছে। আর এই রেলক্রসিং সংলগ্ন প্রতিটি সংযোগ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত। সরু দুইলেনের মহাসড়কের মাঝখানে ডিভাইডার আর খানাখন্দভরা এবড়োখেবড়ো রাস্তায় রেললাইন পার হওয়াটাই একটা যুদ্ধে পরিনত হয়েছে রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ আর পরিবহনগুলোর জন্য। যশোরের রেলস্টেশন সংলগ্ন রেলগেট, মুড়লী, খেলাডাঙা, ধর্মতলা, ঝিকরগাছার লাউজানি সহ শহরের আশেপাশে যতগুলো রেলক্রসিং আছে সবগুলোরই একই দুরাবস্থা। আর এগুলো মেরামত করা বা যান চলাচলের উপযোগী রাখার ব্যাপারেও কতৃপক্ষের চরম উদাসীনতায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা, হচ্ছে সম্পদ হানী।
এসকল রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী প্রতিটি মানুষ এবং ছোট-বড় সকল ধরনের যানের চালকরা এটা নিয়ে বিরক্ত। যশোর বেনাপোল মহাসড়কে চলাচলকারী বাসের চালক সাইফুল ইসলাম বলেন, লাউজনি রেলক্রসিং পার হতে গেলে আমাদের গাড়ির ব্যপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। ভাঙাচোরা রাস্তায় গাড়ি বিকল হয়ে পড়ছে। মোটরসাইকেল চালক আব্দুল বারিক বলেন, লাউজনি রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় পড়ে গিয়ে আহত হয়নি এরকম লোক খুঁজে পাওয়া দুস্কর। আন্তঃজেলা ট্রাক চালক আবু বক্কার সিদ্দিক বলেন, আমি ট্রাক নিয়ে সারাদেশে ঘুরে বেড়ায়। সারাদেশেই রেলক্রসিং গুলোর খারাপ অবস্থা। খানা গর্ত গুলো কোনোমতে ইটপাটকেল দিয়ে ভরাট করার দু-একদিনের মধ্যে আবারও নষ্ট হয়ে যায়। এর দীর্ঘ মেয়াদি সমাধান দরকার।
বাংলাদেশ ভারত যৌথ বানিজ্য কমিটির পরিচালক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মতিয়ার রহমান বলেন, আমরা প্রতিবছর সরকারকে কোটি কোটি টাকা ট্যাক্স দিচ্ছি আমাদের পণ্যবাহী গাড়ি গুলোর জন্য। কিন্তু সড়কের বেহাল দশা বিশেষ করে রেলক্রসিং গুলোতে যে অবস্থা তাতে পরিবহন রক্ষণাবেক্ষণ খরচ অনেক বেড়ে গেছে। রেল বা সড়ক ও জনপথ কারোরই এদিকে নজর নেই। এই জায়গাগুলো নিরাপদ রাখতে তাদের এত অনীহা কেন সেটা বুঝিনা।
যশোর জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী পরিচালক গোলাম কিবরিয়া বলেন, খুলনা যশোর মহাসড়কে যতগুলো রেলক্রসিং আছে সেগুলোর দুপাশে ১০০ মিটার কংক্রিটের ঢালাই দিয়ে মানুষ ও যান চলাচলের উপযোগী করা হবে। এছাড়া যশোর শহরের অভ্যন্তরে এবং লাউজনি রেলক্রসিং একইভাবে নির্মাণ করার পরিকল্পনা আছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে যশোর এর নির্বাহী প্রকৌশলী গৌতম বিশ্বাস বলেন, এই জায়গাগুলো অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কার্পেটিং করলে সেটা বেশিদিন থাকছে না। এই সমস্যা সমাধানের জন্য ইতিমধ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি। পদ্মাসেতু হয়ে যে রেল সংযোগ হবে তার আওতায় ৪টি ক্রসিং পড়েছে। সেটা তারা করবে। বাকীগুলো দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যে আমরা কংক্রিট ঢালাই দিয়ে দীর্ঘস্থায়ী সমাধান করে ফেলতে পারবো বলে আশা করছি।