জাতীয় সংবাদ | তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 8722 বার
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের নদী দখলের পেছনে মন্ত্রী-এমপিসহ রাঘব বোয়ালদের হাত আছে বলে অভিযোগ থাকলেও এবার বোমা ফাটালেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী।
নদী দখলদারদের সহায়তাকারী তকমা দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির নাম অনেকটা স্পষ্ট-ইঙ্গিতেই প্রকাশ করেছেন তিনি। বলেছেন, ‘চাঁদপুরের এক নারী মন্ত্রী নদী দখলে সহায়তা করেন।’
রবিবার বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের নদ-নদী: সংজ্ঞা ও সংখ্যা’ শিরোনামে এক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে মনজুর আহমেদ চৌধুরী এই মন্তব্য করেন। যা নিয়ে চলছে নানা কানাঘুষা, নানা কথাবার্তা।
মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলন বন্ধ করায় সরকারি কর্মকর্তাদের ওই মন্ত্রী শাস্তি দিয়েছেন বলেও জানান জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান।
বলেন, ‘আবার সেখানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন শুরু হয়েছে। ভূমিকা রয়েছে একজন নারী মন্ত্রীর। এই হায়েনার দল থেকে নদীকে বাঁচানো যাচ্ছে না। এই হায়েনার দলের পেছনে আছে রাজনৈতিক শক্তি। চাঁদপুরের ওই নারী মন্ত্রী তাদের সহায়তা করেন।’
মনজুর আহমেদ বলেন, ‘মেঘনায় এর আগে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করা হয়েছে। যাদের নেতৃত্বে এই কাজ বন্ধ করা হয়েছে, তাদের (সরকারি কর্মকর্তাদের) পরে পানিশমেন্ট (শাস্তি) হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো (বদলি করা) হয়েছে। স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে।’
এর আগে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক হাইড্রোলজিস্ট মো. আখতারুজ্জামান তালুকদার। তিনি দেশের নদ-নদীর সংখ্যা ও সংজ্ঞা নির্ধারণ করার ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেন।
আখতারুজ্জামান বলেন, ‘সারা দেশে জেলা-উপজেলা, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেশের নদীর সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশে এখন ১ হাজার ৮টি নদী আছে, যার দৈর্ঘ্য ২২ হাজার কিলোমিটার। নদীর সংখ্যা নির্ধারণে কোনো ব্যয় হয়নি।’
গত ১০ আগস্ট নদী রক্ষা কমিশনের প্রকাশিত খসড়া তালিকায় দেশে নদ-নদীর সংখ্যা উল্লেখ করা হয় ৯০৭টি। ওই তালিকা প্রকাশের পর পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠন আপত্তি জানায়।
আখতারুজ্জামান বলেন, দেশের প্রতিটি জেলার ওপর দিয়ে ২০টি নদী প্রবাহিত হয়। আর সর্বোচ্চ ৯৭টি নদী সুনামগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। দেশে তেল-গ্যাস-সোনা বা সম্পদ না-ই থাকতে পারে। তবে নদীর মতো বড় সম্পদ আছে, যেটা কখনো গোনায় ধরা হচ্ছে না।