ডেস্ক রিপোর্ট : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তাহের আহমেদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি মিয়া মহিউদ্দিন এবং জাহাঙ্গীর আলমের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১ মিনিটে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে এ দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়। জল্লাদ আলমগীরের নেতৃত্বে ৮ জন জল্লাদ ফাঁসি কার্যকরে অংশ নেয়।

ফাঁসি কার্যকর করার আগে সন্ধ্যা থেকে কারাফটকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কারাগারের মূল ফটক ঘিরে রাখে।

এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে আসামি মিয়া মো. মহিউদ্দিনের পরিবারের লোকজন রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে এসে তার সঙ্গে সাক্ষাত করেন। এরপর দুপুর ১২টার থেকে জাহাঙ্গীর আলমের পরিবারের লোকজন তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বসবাস করার কোয়ার্টার থেকে নিখোঁজ হন অধ্যাপক তাহের আহমেদ। ২ ফেব্রুয়ারি তার লাশ বাসার পেছনের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয়। এই হত্যা মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক চারজনকে ফাঁসির আদেশ ও দুজনকে খালাস দেন।

পরে দণ্ডপ্রাপ্তরা উচ্চ আদালতে আপিল করেন। আপিল বিভাগ মিয়া মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলমের রায় বহাল রাখলেও আসামি নাজমুল আলম ও তার স্ত্রীর ভাই আব্দুস সালামের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করলেও তা নাকচ হয়।