১১:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

সবকটিতে বিএনপিপন্থীদের জয়, জামায়াতের ভোট বর্জন

নিউজ ডেস্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক : পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির ২০২৫-২৬ কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্যানেল সবকটি পদে জয়ী হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

সমিতির মোট ৫৪৯ জন সদস্যের মধ্যে ৩৯৬ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচনে সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন পটুয়াখালী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির।

তিনি ২২১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন, যেখানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট মো. নাজমুল আহসান পান ১৩৭ ভোট।

সাধারণ সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট শরীফ মো. সালাহউদ্দিন। লাইব্রেরি সম্পাদক পদেও কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় এ প্যানেলের অ্যাডভোকেট মো. মুজিবুল হক বিশ্বাস রানা নির্বাচিত হন।

এ ছাড়া সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মো. মিজানুর রহমান পিকু (২৩৯ ভোট), সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির (১৯৩ ভোট), অ্যাডভোকেট মো. আশিকুর রহমান তুষার (২৬২ ভোট), ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আরিফুর রহমান রিয়াজ (২৬৩ ভোট), সদস্য পদে অ্যাডভোকেট মো. মহিউদ্দিন রোমান (২৮০ ভোট) এবং অ্যাডভোকেট মারিয়াম আহমেদ (২৫২ ভোট) নির্বাচিত হয়েছেন।

এবারের নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াতপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। নির্বাচন পরিচালনা কমিশনের দায়িত্বে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. মোহসীন উদ্দিন, আর সদস্য হিসেবে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও অ্যাডভোকেট আ.ত.ম. বদিউজ্জামান।

এদিকে, ভোটগ্রহণ চলাকারে কিছু অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন জেলা জামায়াতের আমির ও সভাপতি পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. নাজমুল আহসান।

এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতিত্ব করেছে এবং ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে।

তিনি ফলাফলকে পক্ষপাতদুষ্ট বলেও দাবি করেন। তবে নির্বাচন কমিশন এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ছিল কড়া নজরদারি, যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হলেও ভোট বর্জনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ১১:১৪:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৫৬

সবকটিতে বিএনপিপন্থীদের জয়, জামায়াতের ভোট বর্জন

আপডেট: ১১:১৪:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির ২০২৫-২৬ কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্যানেল সবকটি পদে জয়ী হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

সমিতির মোট ৫৪৯ জন সদস্যের মধ্যে ৩৯৬ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচনে সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন পটুয়াখালী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির।

তিনি ২২১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন, যেখানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট মো. নাজমুল আহসান পান ১৩৭ ভোট।

সাধারণ সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট শরীফ মো. সালাহউদ্দিন। লাইব্রেরি সম্পাদক পদেও কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় এ প্যানেলের অ্যাডভোকেট মো. মুজিবুল হক বিশ্বাস রানা নির্বাচিত হন।

এ ছাড়া সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মো. মিজানুর রহমান পিকু (২৩৯ ভোট), সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির (১৯৩ ভোট), অ্যাডভোকেট মো. আশিকুর রহমান তুষার (২৬২ ভোট), ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আরিফুর রহমান রিয়াজ (২৬৩ ভোট), সদস্য পদে অ্যাডভোকেট মো. মহিউদ্দিন রোমান (২৮০ ভোট) এবং অ্যাডভোকেট মারিয়াম আহমেদ (২৫২ ভোট) নির্বাচিত হয়েছেন।

এবারের নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াতপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। নির্বাচন পরিচালনা কমিশনের দায়িত্বে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. মোহসীন উদ্দিন, আর সদস্য হিসেবে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও অ্যাডভোকেট আ.ত.ম. বদিউজ্জামান।

এদিকে, ভোটগ্রহণ চলাকারে কিছু অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন জেলা জামায়াতের আমির ও সভাপতি পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. নাজমুল আহসান।

এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতিত্ব করেছে এবং ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে।

তিনি ফলাফলকে পক্ষপাতদুষ্ট বলেও দাবি করেন। তবে নির্বাচন কমিশন এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ছিল কড়া নজরদারি, যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হলেও ভোট বর্জনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।