নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় পশ্চিমা দেশগুলোর বিবৃতি দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে ওরা একটা মগের মুল্লুক পেয়েছে। তাদের বিবৃতি গ্রহণযোগ্য নয়।

বুধবার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন মন্ত্রী।

পশ্চিমাদের দেওয়া বিবৃতি প্রসঙ্গে ড. এ কে আবদুল মোমেন। বলেন, এ সম্পর্কে আমি জানি না। আমেরিকার নিউইয়র্কে যখন-তখন লোক মেরে ফেলা হয়। তারা কি স্টেটমেন্ট দেয় কখনো? জাতিসংঘ কখনো বলেছে, আমেরিকায় লোক মরে যায় কেন?

চলতি বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যামব্রিজে পুলিশের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শিক্ষার্থী সাইদ ফয়সাল ওরফে আরিফের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, একটা বাঙালি ছেলে মারা গেল। এতদিন হলো জাতিসংঘ কখনও বলেছে ওই ছেলের তদন্ত কতদূর হয়েছে? কিংবা রাষ্ট্রদূতরা দলবেঁধে কোনো বিবৃতি দিয়েছেন?

এসব বিষয়ে সাংবাদিকরা কেন পশ্চিমা দূতদের প্রশ্ন করেন না সে বিষয়ে জানতে চান মোমেন। বলেন, আপনারা কেন জিজ্ঞেস করেন না (পশ্চিমা দূতদের)? প্রতিদিন লোক মারা যায়, তখন তারা কোনো স্টেটমেন্ট দেয় না। এগুলো নিয়ে আপনি প্রশ্ন করেছেন কখনও? করেছেন? ফয়সালের কথা প্রশ্ন করেছেন? কেন করেননি? আপনাদেরও এসব বিষয়ে সজাগ হওয়া উচিত। খালি আমার দেশ হলে হইচই করা শুরু করে দেয়। আর কোথাও হলে এ রকম হয়?

হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কারা তাকে মারলো তদন্ত করে দেখতে হবে। এমনও হতে পারে কেউ কেউ ইনভলভ ছিল, আমরা জানি না। এমনও হতে পারে আগামীর নির্বাচন চায় না, তাই অনিশ্চয়তা তৈরির জন্য এ হামলা। নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য এ ধরনের অকাম-কুমাম শুরু করে দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় বুধবার এক বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা জানায় ঢাকার প‌শ্চিমা মিশনগু‌লো। বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী দূতাবাস ও হাইকমিশনগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

এর আগে ১৭ জুলাই বিকালে ভোট চলাকালীন বনানীর একটি কেন্দ্রে গিয়ে হামলার শিকার হন ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী হিরো আলম।