০৪:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিয়ন্ত্রণে সাজেকের আগুন, পর্যটনকেন্দ্রজুড়ে কেবল ছাই পুড়ে গেছে ১৪৫টি রিসোর্ট-দোকান-বসতঘর

নিউজ ডেস্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র সাজেক ভ্যালিতে ভয়াবহ আগুনে ১৪৫টি রিসোর্ট-দোকান-বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০০ কোটি টাকারও বেশি বলে জানান হোটেল-মোটেল মালিক ব্যবসায়ীরা।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রথমে সাজেক অবকাশ রিসোর্টে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার দুপুরে প্রথমে সাজেক অবকাশ রিসোর্টে আগুনের সূত্রপাত ঘটে যা মুহূর্তে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার পর খাগড়াছড়ি ও দিঘিনালা থেকে ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। এসময় সেনাবাহিনী, বিজিবি, স্থানীয়রাও আগুন নেভাতে সহায়তা করে।

৫ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন, পুড়ে ছাই অর্ধশতাধিক রিসোর্ট৫ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন, পুড়ে ছাই অর্ধশতাধিক রিসোর্ট।

এদিকে সাজেক ইউপি সচিব বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, সাজেকে আগুন লেগে পুরো এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এখানে প্রায় ১০০ কোটি টাকার ওপরে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমি স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনেছি যে বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে।”

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শিরিন আক্তার বলেন, “আগুনের তীব্রতা এবং পানির সংকটের কারণে ফায়ার সার্ভিস পৌঁছেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিল না। পরে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে আগুন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আসে।”

এদিকে, রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আজ সোমবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে সাজেক পর্যটন এলাকায় শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে সাজেক অবকাশ ম্যানুয়েল রিসোর্টসহ পার্শ্ববর্তী রিসোর্টে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগুন মুহুর্তেই আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনা অবহিত হবার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত আগুন নির্বাপনের জন্য রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার ফায়ার সার্ভিসসহ স্থানীয়দের সঙ্গে যোগাযোগের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর রিজিয়ন কমান্ডার, রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার, খাগড়াছড়ি, জোন কমান্ডার, বাগাইহাট এবং খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এর সঙ্গে যোগাযোগ করে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ বলেন, “সবমিলিয়ে ১৪৫টি রিসোর্ট, দোকান ও বসতঘর পুড়ে গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে পানি ছিটানোর আলোচনা হলেও সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় সেটা সম্ভব হয়নি।”

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ১২:২১:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিয়ন্ত্রণে সাজেকের আগুন, পর্যটনকেন্দ্রজুড়ে কেবল ছাই পুড়ে গেছে ১৪৫টি রিসোর্ট-দোকান-বসতঘর

আপডেট: ১২:২১:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র সাজেক ভ্যালিতে ভয়াবহ আগুনে ১৪৫টি রিসোর্ট-দোকান-বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০০ কোটি টাকারও বেশি বলে জানান হোটেল-মোটেল মালিক ব্যবসায়ীরা।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রথমে সাজেক অবকাশ রিসোর্টে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার দুপুরে প্রথমে সাজেক অবকাশ রিসোর্টে আগুনের সূত্রপাত ঘটে যা মুহূর্তে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার পর খাগড়াছড়ি ও দিঘিনালা থেকে ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। এসময় সেনাবাহিনী, বিজিবি, স্থানীয়রাও আগুন নেভাতে সহায়তা করে।

৫ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন, পুড়ে ছাই অর্ধশতাধিক রিসোর্ট৫ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন, পুড়ে ছাই অর্ধশতাধিক রিসোর্ট।

এদিকে সাজেক ইউপি সচিব বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, সাজেকে আগুন লেগে পুরো এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এখানে প্রায় ১০০ কোটি টাকার ওপরে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমি স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনেছি যে বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে।”

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শিরিন আক্তার বলেন, “আগুনের তীব্রতা এবং পানির সংকটের কারণে ফায়ার সার্ভিস পৌঁছেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিল না। পরে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে আগুন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আসে।”

এদিকে, রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আজ সোমবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে সাজেক পর্যটন এলাকায় শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে সাজেক অবকাশ ম্যানুয়েল রিসোর্টসহ পার্শ্ববর্তী রিসোর্টে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগুন মুহুর্তেই আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনা অবহিত হবার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত আগুন নির্বাপনের জন্য রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার ফায়ার সার্ভিসসহ স্থানীয়দের সঙ্গে যোগাযোগের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর রিজিয়ন কমান্ডার, রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার, খাগড়াছড়ি, জোন কমান্ডার, বাগাইহাট এবং খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এর সঙ্গে যোগাযোগ করে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ বলেন, “সবমিলিয়ে ১৪৫টি রিসোর্ট, দোকান ও বসতঘর পুড়ে গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে পানি ছিটানোর আলোচনা হলেও সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় সেটা সম্ভব হয়নি।”