নিজস্ব প্রতিবেদক : আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থার (আইএমও) মহাসচিব পদে আগামী জুলাইয়ে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বাংলাদেশ। এই নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রার্থিতার পক্ষে প্রচারণার অংশ হিসেবে ঢাকায় কর্মরত ২৫ দেশের কূটনীতিককে নিয়ে বসছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এ বৈঠকে ব্রিফ করবেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, প্রতিমন্ত্রীর ব্রিফিংয়ে আমন্ত্রণ পেয়েছেন- ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, সৌদি আরব, রাশিয়া, কানাডা, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও ফিলিপাইনের দূতরা। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর আমন্ত্রণে চীন ও তুরস্ককে রাখা হয়নি। কেননা, ওই দুই দেশ আইএমওর মহাসচিব পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

মহাসচিব পদে প্রার্থী হিসেবে ইতিমধ্যে সরকার মঈন আহমদকে চূড়ান্ত করেছে। আইএমওর মহাসচিব পদে নির্বাচনে জিততে জোরালোভাবে মাঠে নামছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের প্রার্থী মঈন আহমদ এখন আন্তর্জাতিক মোবাইল স্যাটেলাইট অর্গানাইজেশনের (আইএমএসও) মহাপরিচালক। তিনি কর্মসূত্রে বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন। রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত স্যাটেলাইটগুলোর যোগাযোগের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইএমএসও কাজ করে। এর আগে মঈন আহমদ ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যোগ দেন। পরে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের নির্বাহী পরিচালক (কারিগরি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, কূটনীতিকদের নিয়ে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা সচিব বিভিন্ন রুটিন বৈঠক করেন। বৃহস্পতিবারের বৈঠকটা তারই একটা অংশ। আইএমওর মহাসচিব পদে বাংলাদেশ প্রার্থিতা করবে। বৈঠকে এ বিষয়টা প্রচারণার একটা সুযোগ রয়েছে। প্রতিমন্ত্রী এ বিষয়টাই কূটনীতিকদের ব্রিফ করবেন।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, আইএমও’র প্রার্থিতার প্রচারণার জন্য হলেও হঠাৎ করে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ আরও তিন দেশের কূটনীতিকদের বাড়তি প্রটোকল সুবিধা বাতিলের বিষয়টি আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আইএমও কী

জেনেভায় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সম্মেলনের চুক্তি অনুসারে ১৯৪৮ সালে আইএমও প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আন্তর্জাতিক নৌনিরাপত্তা, নৌবাণিজ্য এবং নৌ চলাচলে পরিবেশদূষণ রোধে কর্মপন্থা গ্রহণের সুপারিশ করে থাকে সংস্থাটি। বর্তমানে আইএমওর সদস্যসংখ্যা ১৭৮। এর মধ্যে কাউন্সিল সদস্যদেশ ৪০। মূলত এই ৪০ দেশ মহাসচিব পদে নির্বাচনে ভোট দিতে পারে। বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে আইএমওর সদস্য হয়।