আবহাওয়া ডেস্ক : কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ সোমবার (৮ মে) এক ফেসবুক পোস্টে জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা ভোলা থেকে কক্সবাজার জেলার মধ্যবর্তী স্থান নিয়ে উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা সর্বোচ্চ। আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্য বিশ্লেষণ করে তিনি এ তথ্য জানান।

পোস্টে তিনি লেখেন, মোখা’র কেন্দ্রের অগ্রভাগ উপকূলে আঘাত শুর করার সম্ভব্য সময় ১৪ই মে-এর দুপুরের পর থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত। ঘূর্ণিঝড় এর কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করার সম্ভব্য সময় ১৪ মে দিবাগত রাত ১২ টা থেকে ভোর ৬ টা। ঘূর্ণিঝড় মোখা’র পেছনের অর্ধেক অংশ উপকূলে অতিক্রম করার সম্ভব্য সময় ১৫ মে ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত। সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আঘাত করার সময় এটি অত্যন্ত তীব্র ঘূর্ণিঝড় কিংবা তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসেবে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

এদিকে, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে আঘাত করার সময় এটি অত্যন্ত তীব্র ঘূর্ণিঝড় কিংবা তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসাবে উপকূল অতিক্রম করতে পারে উল্লেখ করে তিনি জানান, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোখার বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ওঠার আশঙ্কা রয়েছে ১৬০ থেকে ১৯০ কিলোমিটার (সমুদ্রে থাকা অবস্থায়) ও উপকূলে আঘাত হানার সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ওঠার আশঙ্কা রয়েছে ১৩০ থেকে ১৭০ কিলোমিটার। চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলো ৭ থেকে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের পানিতে প্লাবিত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।

গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়া ছোট নৌকার জেলেদের জন্য ঘূর্ণিঝড় সতর্কতা সোমবার দিনের শেষ ভাগে কিংবা আগামীকাল মঙ্গলবার (৯ই মে) দুপুরের মধ্যে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। নিম্নচাপটি ১০ই মে দিনের কোন এক সময় পূর্নাঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। উপকূলীয় এলাকার কোন জেলে ছোট নৌকা নিয়ে ৯ই মে এর পরে মাছ ধরার জন্য গভীর বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশে যাত্রা করলে প্রাণ নিয়ে উপকূলে ফেরার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর ইতিমধ্যে আন্দামান ও নিকবার দ্বীপের চার পাশে জেলেদের মাছ ধরা ও চলাচল না করার জন্য সতর্কতা জারি করেছে।