সারাবিশ্ব | তারিখঃ মার্চ ৪, ২০২৩ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 3015 বার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : টিউমার রয়েছে যৌনাঙ্গে। অস্ত্রোপচার করতেই হবে। তেমনই বলেছিলেন চিকিৎসক। দীর্ঘ ও সুস্থ জীবন পেতে রোগী ডাক্তারের পরামর্শ মেনেও নেন। অতঃপর হয় অস্ত্রোপচার। শেষ হলে জানা যায়, কোনও টিউমারই ছিল না। মাঝখান থেকে নিজের যৌনাঙ্গ হারিয়ে অকুল পাথারে রোগী।
দীর্ঘ দিন ধরে যৌনাঙ্গে ব্যথা অনুভব করতেন ইটালির বাসিন্দা এক ব্যক্তি। গিয়েছিলেন ডাক্তারের কাছে। অনেক পরীক্ষার পর চিকিৎসক তাঁকে জানান, যৌনাঙ্গে টিউমার রয়েছে। তা থেকেই যন্ত্রণা। অস্ত্রোপচার করে টিউমার বাদ দিতে হবে। চিকিৎসকের কথা মেনে রোগী রাজিও হয়ে যান অস্ত্রোপচারে। যথারীতি অস্ত্রোপচারও হয়। কিন্তু অপারেশন শেষে চিকিৎসক বুঝতে পারেন টিউমার ছিলই না। কিন্তু তত ক্ষণে রোগীর যৌনাঙ্গ কেটে বাদ দেওয়া হয়ে গিয়েছে।
‘ডেলি মেল’ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদন বলছে, ষাটোর্ধ্ব রোগীর আসলে সিফিলিসের সমস্যা ছিল। যা ওষুধেই সেরে যায়। কিন্তু চিকিৎসকের ভুল নিরীক্ষার জেরে যৌনাঙ্গ হারালেন তিনি। ইটালির স্বাস্থ্য সংক্রান্ত দফতর ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। চিকিৎসকের সাজার দাবিতে এবং ক্ষতিপূরণ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই রোগী। আগামী ৯ মার্চ এই মামলার শুনানি ইটালির আদালতে।
গত বছর অনেকটা একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল এই ইউরোপের বুকেই। ফ্রান্সে এক রোগীর ভুল পরীক্ষা নিরীক্ষার পর অস্ত্রোপচার করে তাঁর যৌনাঙ্গ বাদ দেন এক চিকিৎসক। রোগী পরে দাবি করেছিলেন, তাঁর কোনও কথাই ওই চিকিৎসক শোনেননি এবং নিজের মর্জি মতো অস্ত্রোপচার করে দেন। ক্ষতিপূরণ হিসাবে ওই রোগীর আইনজীবী ১০ লক্ষ ইউরোর দাবি করেছিলেন। আদালত তাঁকে ৬২ হাজার ইউরো ক্ষতিপূরণ বাবদ দেওয়ার নির্দেশ দেয়।