আলমডাঙ্গা অফিসঃ আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন ও সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের উদ্যোগে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অপব্যবহার রোধ, ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলা নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা নিপীড়ন ও বৈষম্যমূলক আচরণ বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ এবং শিক্ষার মান উন্নয়ন বিষয়ে শিক্ষক অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে ও শিক্ষাবৃত্তি ও বাই সাইকেল বিতরণ উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সকাল সাড়ে দশটার দিকে আলমডাঙ্গা পাইলট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রনি আলম নূর। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান।তিনি ছাত্র, ছাত্রীদের উদ্যেশ্যে বলেন, জীবনটা কিন্ত খুব কঠিন, আবার খুব সম্ভাবনাময়, মনে রেখ হাইস্কুলের জীবনটা মজার, কারন বড় হবার পর তোমরা এমন সুযোগ আর পাবে না, সৃষ্টি কর্তা সকল সৃষ্টি করেছেন, ছোট বড় করে নয়, মানুষ করে, মনে রেখ, সময়কে সবচাইতে যে কাজে লাগতে পরবে সে সফল হবে,আর যে সময়কে হেলাফেলা করবে তারা সফলতা লাভ থেকে বঞ্চিত হবে।একটা ছেলে বা মেয়ে স্কুলে কতক্ষন থাকে,বেশির ভাগ সময় বাড়ীতে থাকে, তাই অভিভাবক দেরকে অবশ্যই তাদের খোজ খবর নিতে হবে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী দেশের পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের জন্য বিশেষ সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে, সংবিধানে দেশের সকল মানুষের সমান অধিকার, কিন্ত তারা অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে, তাই সরকার তাদের জন্য প্রতিছর তালিকা করে ঘর নির্মান করে দেওয়া হচ্ছে। আলমডাঙ্গা সরকারি স্কুলের অনেক শিক্ষার্থী, তিনি বলেন, শিক্ষার মান কমে যাচ্ছে, শুধু জিপিএ-৫ পেয়ে বড় বড় কলেজে ভর্তি যুদ্ধেও তারা পিছিয়ে পড়ছে,চাকরির ক্ষেত্রে তারা সফল হচ্ছে না, এর কারন শিক্ষার মান কমে যাওয়া, তাই তোমাদের সত্যিকারের সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে,মনে রেখ স্মাট বাংলাদেশ গড়তে হলে তোমাদের সুশিক্ষায় শিক্ষিক হয়ে স্মাট হতে হবে।

বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ, চুয়াডাঙ্গা ডিসি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুর রহমান, আলমডাঙ্গা একাডেমিক সুপারভাইজার ইমরুল হক, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান, সহকারি প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস হোসেন,থানার উপ-পরিদর্শক জমির হোসেন, সহকারী শিক্ষক আনোয়ারুজ্জামানের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন অভিভাবক প্রতিনিধি হাবিবুল করিম ওরফে চঞ্চল মাহমুদ, অভিভাবক প্রতিনিধি আফরোজা পারভীন, মানপত্র পাঠ করেন দশম শ্রেণীর ছাত্র সামিউল বাসিদ, তাছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন দশম শ্রেণীর ছাত্র সোয়াদ হাসান, শুদ্ধপাল, নাঈমুর রহমান, শাহরিয়ার তূর্য প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে উপজেলার ক্ষুদ্র নৃগোষ্টি, কোল ও বাগদি সম্প্রদায়ের ১০ জন ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বাইসাইকেল ও উপবৃত্তির টাকা প্রদান করা হয়।দ্বদশ-একাদশ শ্রেনীর ৮ জনকে ৯হাজার ৬ শত টাকা করে মোট ৭৬ হাজার ৮শত টাকা,৬ষ্ট ও দশম শেনীর ২২ জনকে ৬ হাজার করে মোট ১লক্ষ ৩২ হাজার টাকা, ১ম থেকে ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত ৮০ কে ২হাজার ৪ শত করে মোট ১লক্ষ ৯২ হাজার টাকা,সর্ব মোট ৪ লক্ষ ৮ শত টাকা প্রদান করা হয়েছে।