খেলাধুলা | তারিখঃ নভেম্বর ১০, ২০২২ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 5445 বার
খেলাধুলা ডেস্ক : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে ভারতের হার। অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১০ উইকেটে হেরে গেলেন রোহিত শর্মারা। প্রথমে ব্যাট করে ১৬৮ রান তোলে ভারত। হার্দিক পাণ্ড্য ৬৩ রান করেন। বিরাট কোহলি করেন ৫০ রান। ভারতের রান তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ড জয়ের রান তুলে নেয় ১৬ ওভারে। জস বাটলার এবং অ্যালেক্স হেলসের ইংল্যান্ডের হয়ে অর্ধ শত রান করেন ।
টসের সময় রোহিত জানিয়েছিলেন যে, তিনিও টস জিতলে আগে ব্যাট করতেন। অর্থাৎ ভারতের টসে হেরে খুব একটা অসুবিধা হয়নি । কিন্তু শুরুতেই ফিরে যান লোকেশ রাহুল। বড় ম্যাচে তাঁর ব্যাটে রান দেখা যায় না। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ এবং জ়ম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে রাহুল অর্ধ শত রান করে ছন্দে ফিরেছেন বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে যখন রাহুলের ব্যাটে বড় রান প্রয়োজন ছিল, তখন মাত্র ৫ বলে ৫ রান করে উইকেট রক্ষকের হাতে ক্যাচ দিলেন তিনি। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দেওয়ার মতো ভুল সেমিফাইনালের মঞ্চে মেনে নেওয়া কঠিন।
রোহিত ২৭ রান করলেও খেলে ফেললেন ২৮টি বল। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বিজ্ঞাপন হিসাবে যা একে বারেই ভাল নয়। এক দিনের ক্রিকেটে যে ব্যাটারা দুশো করেন, তাঁর থেকে সেমিফাইনালের মতো বড় ম্যাচে যে এই রান গ্রহণযোগ্য নয় তা বলাই যায়। ভারত অধিনায়ক যদিও বেশ কিছু দিন ধরেই রানের মধ্যে নেই। এ বারের প্রতিযোগিতায় তিনি মাত্র একটি অর্ধ শত রান করেছেন। সেটাও এসেছে নেদারল্যান্ডসের মতো দলের বিরুদ্ধে।
ভারতের স্কোরবোর্ডে ইনিংস শেষে যে ১৬৮ রান দেখাচ্ছে, সেটার জন্য কৃতিত্ব দিতে হবে বিরাট কোহলি এবং হার্দিক পাণ্ড্যকে। সূর্য কুমার যাদবও এ দিন ১০ বলে ১৪ রান করে ফিরে যান। তাঁর উইকেট তুলে নেন আদল রশিদ। ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে একটি উইকেট পাওয়া স্পিনারই ভারতের রান আটকে দেন মাঝের ওভারে। প্রথম ১৫ ওভারে ১০০ রান তুলেছিল ভারত। সেখান থেকে শেষ ৫ ওভারে ৬৮ রান তোলার পিছনে বড় ভূমিকা নেন হার্দিক।
বিরাট নিজের প্রিয় অ্যাডিলেডের মাঠে ৪০ বলে ৫০ রান করেন। এক দিক থেকে যখন উইকেট হারাচ্ছিল দল, বিরাটই আটকে রেখেছিলেন। শেষ বেলায় ঝড় তোলেন হার্দিক। তিনি ৩৩ বলে ৬৩ রান করেন। শেষ ওভারে প্রথম দু’বলে একটি করে রান হয়। তৃতীয় বল মারতে ফস্কান ঋষভ পন্থ। সেই সময় হার্দিক দৌড়ে যান। পন্থ নিজের উইকেট ত্যাগ করেন। হার্দিক স্ট্রাইক পেয়ে পরের বলটি ছক্কা হাঁকান। তার পরের বল চার মারেন তিনি। শেষ বলেও চার মারেন কিন্তু তাঁর পা লেগে যায় উইকেটে। বেল পড়ে যায়। হিট উইকেট হন হার্দিক।
ভারতকে কম রানে আটকে রাখার জন্য কৃতিত্ব দিতে হবে ইংল্যান্ডের ফিল্ডিংকেও। বোলাররা যে ভাবে লাইন, লেংথ রেখে বল করলেন, তেমনই ঠিক জায়গায় ফিল্ডার রাখলেন বাটলার। হার্দিক খুব বেশি সুইপ মারেন না, তাঁর সেই ভাবে ফিল্ডিং সাজানো হল। বিরাট কোহলি আবার স্ট্রেট ড্রাইভ মারতে পারেন, তাঁর জন্য রাখা হল মিড অন, মিড অফ। পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করে ভারতের রান শুরু থেকেই আটকে দিয়েছিল ইংল্যান্ড।