আলমডাঙ্গা অফিসঃ চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় একটি বাড়ি থেকে চুরি হয়ে যাওয়া সাত ভরি সোনার গহনা কুষ্টিয়া থেকে উদ্ধার হয়েছে। সোমবার দুপুরে কুটিয়ার এক জুয়েলারী দোকান থেকে অর্ধেক ও চোরের বাড়ি থেকে বাকি গহনাগুলো উদ্ধার করে পুলিশ।

এ সময় আন্ত:জেলা চোরচক্রের তিন সদস্য আটক করা হয়। আলমডাঙ্গা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, রবিবার দুপুরে আলমডাঙ্গার মাদ্রাসাপাড়ার ছানোয়ার হোসেনের স্ত্রী ঘরের বাইরের বাথরুমে কাপড়চোপড় পরিস্কার করছিলেন। এসময় কুষ্টিয়ার আবুল হোসেনের স্ত্রী জাহানারা খাতুন কৌশলে ঘরে ঢুকে ড্রয়ারের তালা খুলে স্বর্ণের ছোট বাক্স নিয়ে গেইট দিয়ে বের হয়ে যাবার সময় ছানোয়ারের স্ত্রীর নজরে পড়ে। এখানে কি করছেন জানতে চাইলে চোর জাহানারা পানি খাওয়ার জন্য এসেছে বলে জানায়। ছানোয়ার হোসেসর স্ত্রী পানি আনতে গেলে জাহানারা কৌশলে পালিয়ে যায়।

পুলিশ জানায়, তিন মাস আগে আলমডাঙ্গার হাঁপানিয়ার একটি বাড়িতে জাহানারা চুরির দায়ে আটক হলে সে সময়ে ছবি তুলে রাখা হয়। সেই ছবি দেখালে জাহানারাকে চিনতে পারে ছানোয়ার হোসেনের স্ত্রী। তিনি জানান,এই মহিলায় পানি খেতে চেয়েছিল।

পুলিশ রোববার রাতেই কুষ্টিয়ার চৌড়হাঁস এলাকায় জাহানারার বাড়িতে অভিযান চালায়। চুরি যাওয়া স্বর্নালাংকারের অর্ধেক তার বাড়িতে পাওয়া যায়। আর বাকি অর্ধেক চৌড়হাঁসের সোহাগ জুয়েলার্সের লকারে পাওয়া যায়। স্বর্নালাংকার উদ্ধারে নেমে পুলিশ জানতে পারে ষাটোর্ধ জাহানারা বেগম ও তার মেয়ে পলি খাতুন বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় কৌশলে বাড়িতে ঢুকে স্বর্নালাংকার চুরি করে কুষ্টিয়ার চৌড়হাঁসের সোহাগ জুয়েলার্সে মাপজোক করে দিয়ে আসে। জুয়েলার্সের মালিক সোহাগ সেই স্বর্নালাংকার বিক্রি করে টাকা ভাগাভাগি করে নেয়। স্বর্নালাংকার চুরি করে জাহানারা ও তার মেয়ে আর বিক্রি করে সোহাগ। পুলিশ জাহানারা বেগম ও তার মেয়ে পলি খাতুন এবং সোহাগকে আটক করে আলমডাঙ্গা থানায় নিয়ে আসে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

এ ঘটনায় কুষ্টিয়া জেলার জুয়েলারি মালিক সমিতির সভাপতি বিজন কুমার কর্মকার জানান, স্বর্ণালঙ্কার ক্রয় করতে সঠিক ভাবে দোকানের রশিদ ও জাতীয় পরিচয়ের মাধ্যমে ক্রয় করতে হবে। তবে, চুরি সিন্ডিকেট এর সাথে সম্পৃক্ততা রেখে ব্যবসা পুরোপুরি বে-আইনি।

তিনি আরো জানান, যদি সোহাগ জুয়েলারির মালিক সোহাগের স্বর্ণালঙ্কার চুরির সাথে সম্পৃক্ততা প্রমান মিলে।পরবর্তীতে ব্যবসায়ীক সমিতি তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিবে।