স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা | তারিখঃ অক্টোবর ২৫, ২০২২ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 3825 বার
গোস্তে নির্দিষ্ট পরিমাণে খনিজ-পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও সোডিয়াম থাকে। গোস্তের চর্বিহীন পেশিতে ক্লোরাইড, বাইকার্বোনেট ও অ্যাসিড ফসফেট থাকে যা দেহ সুরক্ষিত করে। তাছাড়া গোস্তে ক্যালরি বেশি থাকায় তা শক্তি সরবারহে সহায়তা করে।
বিভিন্ন গোস্তের পুষ্টি মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী।
মুরগি
মুরগিতে প্রতি ১০০ গ্রামে ৭৪ শতাংশ পানি থাকে। ক্যালরি ১২১, প্রোটিন ২০ গ্রাম , চর্বি ৪ গ্রাম , ক্যালসিয়াম ১৪ মি.গ্রা., লৌহ ০.৭ মি.গ্রা, ভিটামিন বি-১-০.১ মি.গ্রা., নায়াসিন ১১.৬ মি.গ্রা. থাকে।
গরু
গরুর গোস্তে প্রতি ১০০ গ্রাম ৬৭ শতাংশ পানি। ১৮০ কিলো-ক্যালরি থাকে ১০০ গ্রামে। প্রোটিন ২১ গ্রাম, চর্বি ১৪ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৬ মি.গ্রা., লৌহ ২.৩ গ্রাম, ভিটামিন বি-১ থাকে ০.০৮ মি.গ্রা., ভিটামিন বি-২ থাকে ০.২৬ মি.গ্রা., নায়াসিন থাকে ৮.২ মি.গ্রা. । কোলেস্ট্রলের মাত্রা গরুর গোস্তে অনেক বেশি।
খাসি
২৯৪ কিলোক্যালরি থাকে ১০০ গ্রাম খাসির গোস্তে। এতে চর্বি ২১ গ্রাম , কোলেস্টেরল ৯৭ মি.গ্রা., সোডিয়াম ৭২ মি.গ্রা., পটাসিয়াম ৩১০ মি.গ্রা. ও প্রোটিন থাকে ২৫ গ্রাম । এতে উচ্চ মাত্রায় লৌহ থাকে।
মুরগির তুলনায় গরু ও খাসির গোস্তে চর্বি বেশি থাকায় এগুলো পরিমিত খাওয়া উচিত। রান্নার ক্ষেত্রেও অনেকটা সচেতন হওয়া উচিত। যে কোনো মাংসই সুসিদ্ধ হয় এমন ভাবে রান্না করা উচিত।
মনে রাখতে হবে
যারা অসুস্থ, যেমন: হৃদ-রোগী, ডায়াবেটিক ইত্যাদি তাদেরকে অবশ্যই চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী গোস্ত খাওয়ার পরিমাণ নির্ধারণের পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।