ডা: ওবায়দুল কাদির : কোলেস্টেরলের সমস্যা এখন প্রায় ঘরে ঘরে। কারও যদি ডায়াবিটিস থাকে, তা হলেও কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে তা রক্তবাহের মধ্যে সঞ্চিত হতে শুরু করে। রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে, রক্তচাপ বাড়ে এবং তার সঙ্গে সঙ্গে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চর্বিজাতীয় খাবার, চিপ্‌স, ভাজাভুজি, শর্করাযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।

পুষ্টিবিদদের মতে, এই রোগকে জব্দ করতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে বেশ কিছু খাবার। জেনে নিন সেগুলি কী কী।

১) ওট্‌স

কোলেস্টেরলের সমস্যার মোক্ষম ওষুধ হতে পারে ওট্‌স। এতে ভরপুর মাত্রায় দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, এই ‘সলিউবল ফাইবার’ খেলে শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল বেরিয়ে যায়। তাই সকালে প্রাতরাশে দুধ-ওট্‌স, ওট্‌সের প্যানকেক কিংবা ওট্‌সের খিচুড়ি খুবই স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য আইটেম।

২) কাঠবাদাম ও আখরোট

সন্ধ্যাবেলা হালকা খিদে পেলে কিংবা সকালের জলখাবারে কাঠবাদাম ও আখরোট রাখতেই পারেন। এতে ফ্যাটের পরিমাণ অনেক। কিন্তু তা হল মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা স্বাস্থ্যের উপকার করে। এগুলি শরীরে উপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে ও অপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

৩) অ্যাভোকাডো

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই ফল রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। অ্যাভোকাডোতে ভাল মাত্রায় মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ফাইবার থাকে। ডায়েটে রোজ এই ফল রাখতে পারলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

৪) চর্বি যুক্ত মাছ

মাছের মধ্যে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এই ফ্যাটি অ্যাসিড কিন্তু রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে বেশ উপকারী। এ ক্ষেত্রে সামুদ্রিক মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই রোজের খাদ্যতালিকায় মাছ অবশ্যই রাখতেই হবে।

৫) ডালজাতীয় শস্য

বিনস ও রাজমা জাতীয় খাবারে ফাইবারের পরিমাণ খুব বেশি থাকে। ফাইবার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে বেশ উপকারী। তাই কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে ডায়েটে রাখতেই হবে রাজমা।