সারাবিশ্ব | তারিখঃ জুলাই ১৩, ২০২৪ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 5284 বার
সারাবিশ্ব ডেস্ক : ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে আর্জেন্টিনা। শুধু তাই নয়, ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর আর্থিক সম্পদ জব্দ করারও নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি জাভিয়ের মিলেই। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের সঙ্গে বন্ধুত্ব দৃঢ় করা এবং ফিলিস্তিনকে ধ্বংসের সমর্থনে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১৩ জুলাই) দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে শুক্রবার আনুষ্ঠানিক ডিগ্রি জারি করে ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ওই পদক্ষেপ নেয় আর্জেন্টিনা।
এ ব্যাপারে আর্জেন্টাইন প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলা মেনে নেওয়া যায় না। ওই হামলা ছিল মানবাধিকারের বিরুদ্ধে সরাসরি অপরাধ। হামাস সেই নারকীয় হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলিকে হত্যা এবং ২৫১ এর বেশি মানুষকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। তাদের এখনও মুক্তি না দিয়ে নির্যাতন করছে। এ ছাড়া সংগঠনটি ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে। অথচ ইরান আর্জেন্টিনায় ইহুদি স্থাপনায় সন্ত্রাসী হামলার জন্য দায়ী।
১৯৯৪ সালে জুইশ কমিউনিটি সেন্টারের সদর দপ্তরে বোমা হামলা হয়। আর্জেন্টিনার কোর্ট অব ক্যাসেশান বুয়েনস আইয়েরস ওই বোমা আক্রমণের জন্য ইরান ও তাদের লেবাননী সহপক্ষ হিজবুল্লাহকে দায়ী করেছে।
ওই আক্রমণে ল্যাটিন আমেরিকার সর্ববৃহৎ জুইশ কমিউনিটি তছনছ হয়ে যায়। গোটা কমিউনিটি সেন্টার বিধ্বস্ত হয়ে মাটির সঙ্গে মিশে যায়। ৮৫ জন নিহত এবং ৩০০ জন আহত হন। সম্প্রতি এ হামলার বিচার নিশ্চিতে ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ওয়াহিদীকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের সহায়তা চেয়েছে আর্জেন্টিনা। ১৯৯৪ সালে একটি বোমা হামলার ঘটনায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে তাকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে।
জুইশ কমিউনিটিতে হামলার ৩০ তম বার্ষিকীর ঠিক আগে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলেন জাভিয়ের। তিনি কট্টর মুসলিম বিদ্বেষী এবং যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের শুভাকাঙ্ক্ষী। এর আগেও তিনি ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়েছিলেন। শুক্রবারের বিবৃতিতে তিনি বলেন, আর্জেন্টিনাকে অবশ্যই আরেকবার পশ্চিমা সভ্যতার সঙ্গে যুক্ত হতে হবে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এই বছরের শুরুর দিকে প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরে জাভিয়ের জেরুজালেমে যান। এটি ছিল ইসরায়েলি সরকারের প্রতি তার সমর্থন প্রদর্শন এবং বন্ধুত্ব দৃঢ় করার সফর। তখনই তিনি নেতানিয়াহুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন এবং হামাসের প্রতি ক্রোধ প্রকাশ করেন।