রাসেল আহমেদ, খুলনা জেলা প্রতিনিধি : খুলনার তেরখাদা উপজেলা সদরের কাটেঙ্গা,জয়সেনা ও তেরখাদা বাজারের প্রধান প্রধান গলিসহ রাস্তা এবং সড়কে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায় বাজারগুলোর রাস্তা-ঘাট। এতে বাজারের ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও বাজার দিয়ে চলাচলকারী মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই।উপজেলা সদরের তিনটি বাজার ঘুরে দেখা যায়,এসব বাজারে ছোট বড় হাজার হাজারের অধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন পণ্যের বড় বড় শো-রুম রয়েছে। রয়েছে সোনালী ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক,অগ্রণী ব্যাংক,ডাচ বাংলা ব্যাংক, গ্রামীন ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংকের উপশাখাও।

টিন, রড, সিমেন্ট ও কাপড়ের বড় বড় দোকান রয়েছে। প্রতিদিন এ সব বাজারে হাট বসে। বাজারগুলোতে প্রায় শতাধিক গার্মেন্টসের দোকান, ৫০টির মতো স্বর্ণের দোকান, ৭০ এর অধিক ওষুধের দোকান রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে এখানে।

কাটেঙ্গা বাজার থেকে বহন করে যাচ্ছিলেন ভ্যানচালক মো: মশিউর। তিনি বলেন, বাজারের ভিতরের রাস্তায় কাদাপানিতে একাকার। ভ্যানচালাতে অনেক কষ্ট হয়।

বাজারে কেনাকাটা করতে এসে বারাসাত ইউনিয়নের ইখড়ি গ্রামের মুস্তাফিজুর শেখ বলেন, এতো বড় বাজার কিন্তু কাদাপানিতে চলা যায় না। একটি ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি বলেন, কাদাপানি আর গর্তের কারণে বাজার দিয়ে হেঁটে যেতে কষ্ট হয়। উপজেলা সদরের কাটেঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মাসুদ শেখ বলেন, দূর-দূরান্তে এ তিনটি বাজারের নাম ডাক রয়েছে। কিন্তু বৃষ্টির দিনে বাজারের সড়কগুলোতে কাদা পানি থাকায় বাজারে এসেই সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

কাটেঙ্গা বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রভাস বলেন, বৃষ্টি নামলে বাজারের ভেতরের রাস্তাঘাটের চিত্র খুবই করুণ হয়ে যায়। হাঁটতে চলতে খুব অসুবিধা হয়। এ জন্য ব্যবসায়ীদের বিক্রিও কমে গেছে। শহীদ স্মৃতি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছাত্রী তায়েবা খাতুন বলেন, তেরখাদার এ সকল বাজারে চলাফেরা করতে অনেক কষ্ট হয়। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের বই, খাতা কিনতে ও পোশাক পরিচ্ছদ তৈরি করার জন্য প্রায়ই বাজারে আসতে হয়। বৃষ্টির কারণে বাজারে এসে কাদাপানিতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

তেরখাদা বাজার বণিক সমিতির সভাপতি শেখ শামীম হাসান বলেন, আমাদের প্রতিনিয়ত ব্যবসায়ীদের তোপের মুখে পড়তে হয়। বেশিরভাগ চলাচলের অনুপযোগী।