নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপিকে বাদ দিয়ে এ দেশে আগামীতে কোনো নির্বাচন হবে না বলে দাবি করে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদউজ্জামান ফরহাদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার আবারও ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো প্রহসনের নির্বাচন করে ক্ষমতায় থাকার পায়তারা করছে। তবে ২০১৪, ১৮ আর ২০২৪ এক নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ গণতান্ত্রিক বিশ্ব বাংলাদেশে আগামীতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। এটা দেশবাসীরও দাবি। এই দাবিতে গণতন্ত্রগামী সব বিরোধী দল রাজপথে নেমেছে, জনগণও জেগে উঠেছে। তারা আর এদেশে কোন প্রহসনের নির্বাচন হতে দেবে না। সুতরাং এই সরকার অবশ্যই পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে।

১৫ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়সংলগ্ন আলরাজি কমপ্লেক্সের সামনে একদফার যুগপৎ আন্দোলন ও আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ড. ফরহাদ।

তিনি সরকারকে অবিলম্বে একদফা মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, অন্যথায় জনগণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে দাবি মানতে বাধ্য করবে। তখন ক্ষমতাসীনরা পালানোর পথ পাবে না।

জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের এই সমন্বয়ক বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও বাস্তবে তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। ১৯৭৫ সালে তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল কায়েম করেছিল। এরপর ১৯৭৮ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করেন। আওয়ামী লীগ সর্বশেষ ২০১৪ সালে একতরফা প্রহসনের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে আবারও হত্যা করেছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে বিএনপির নেতৃত্বে আমরা আন্দোলন করছি।

তিনি অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পাশাপাশি কারাবন্দি আলেম-ওলামাসহ গণতন্ত্রকামী সবার মুক্তি দাবি করেন।

ড. ফরহাদ বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায় না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। জাতীয়তাবাদী সমননা জোট দাবি আদায় ছাড়া রাজপথ ছাড়বে না।

এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাত, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির চেয়ারম্যান সুকৃতি কুমার মন্ডল, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল বারিক, জাগপার কেন্দ্রীয় নেতা ডা. আওলাদ হোসেন শিল্পী, যুব জাগপার সভাপতি মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ।