আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডের ভূখণ্ডে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে দুজন নিহত হয়েছেন। পোলিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই দাবি করেছে।

এই ঘটনার পরপরই জরুরি বৈঠক ডেকেছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা জোটটির সদস্য পোল্যান্ডে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানায় যুদ্ধ আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) পোল্যান্ডের একটি গ্রামে আঘাত হানে রাশিয়ার তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন।

পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রজেজ দোদা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই ক্ষেপণাস্ত্র কে নিক্ষেপ করেছে, তার সুস্পষ্ট কোনো প্রমাণ এই মুহূর্তে আমাদের কাছে নেই। সম্ভবত এটি রুশ-নির্মিত ক্ষেপণাস্ত্র। তবে এখন তা নিয়ে তদন্ত চলছে।’

এদিকে এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা অস্বীকার করেছে রাশিয়া। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এটাকে ‘পরিস্থিতি অবনতি ঘটাতে পরিকল্পিত উস্কানি’ প্রদান বলে অভিহিত করেছে।

এক বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, রুশ বাহিনী ইউক্রেন-পোল্যান্ড সীমান্তের টার্গেটের ওপর কেনো ধরনের হামলা চালায়নি।

এতে বলা হয়, সেখানে যেসব ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে, সে ব্যাপারে রাশিয়ার কিছুই করার নেই।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ জানিয়েছেন, পোল্যান্ডে বিস্ফোরণের ব্যাপারে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।

তিনি রয়টার্স সংবাদ সংস্থাকে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এ ব্যাপারে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।

আলজাজিরার জোনাহ হাল কিয়েভ থেকে বলেন, রুশ ক্ষেপণাস্ত্র পোল্যান্ডে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হলে তা হবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো এমন ঘটনা ঘটা। আর সেক্ষেত্রে যুদ্ধ ন্যাটো ভূখণ্ডে সরাসরি ছড়িয়ে পড়তে পারে।

তিনি বলেন, এমন হতে পারে যে এসব ক্ষেপণাস্ত্র টার্গেট মিস করেছে, কিংবা ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় এগুলোর গতিপথ পরিবর্তন করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, তবে এখনই এ ব্যাপারে কোনো কিছু বলা যাচ্ছে না।

এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রেক্ষাপটে ইউক্রেনে আরো বেশি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ সহায়তা প্রদান করা হবে ধারণা করছেন যুক্তরাজ্যের রুশির নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ স্যাম রামানি।

তিনি বলেন, ন্যাটো এখন ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বাড়াবে।