খুলনা বিভাগ, জেলার খবর, যশোর | তারিখঃ অক্টোবর ২০, ২০২২ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 5238 বার
ডেস্ক রিপোর্ট : যশোরে নতুন করে ২৩ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত সকলেই অভয়নগর উপজেলার বাসিন্দা। এই নিয়ে জেলায় ৪৫৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলেন। এরমধ্যে অভয়নগর উপজেলাতে রয়েছে ৩৫৪ জন। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তা ডা. নাসিম ফেরদৌস। অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ওহিদ্জ্জুামান আজাদ জানান, আক্রান্তদের অধিকাংশ ভবদহ বিলপাড়ের মানুষ।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় যশোরে ডেঙ্গু রোগী বেড়েছে আরও ২৩ জন। তারা সকলে অভয়নগর উপজেলার। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় জেলায় মাত্র ১ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছিলো। সেই হিসেবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গত কয়েক বছরে এই সময়ে অভয়নগর উপজেলায় ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ সব চেয়ে বেশি।
ডা. নাসিম ফেরদৌস জানান, আরও জানান, এবারও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে অভয়নগর উপজেলা। এখানে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। ইতিমধ্যে সেখানে ৩৫৪ জনের সন্ধান পাওয়া গেছে। আগের বছরও অভয়নগর রোগীর সংখ্যা বেশি ছিলো।
অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ওয়াহিদুজ্জামান ডিটু জানান, অভয়নগরে ডেঙ্গু রোগী বাড়ার প্রধান কারণ হলো অভিশপ্ত ভবদহে পানি জমে থাকা। সেখানে ওভার ফ্লো হয়ে খানা খন্দে জমে থাকা পানি থেকে ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে। কারণ হিসেবে তিনি জানান, জমে থাকা পানিতে এডিশ মশা ডিম পাড়ে। ওই ডিম থেকে হাজার হাজার মশা জন্ম নিচ্ছে। ডা. ওয়াহিদুজ্জামান ডিটু আরও জানান, অভয়নগরে ডেঙ্গতে আক্রান্তদের অধিকাংশের বসবাস ভদবহ পাড়ে। সেখানকার মানুষ বেশি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সেখানকার জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও কার্যকর কোন ভূমিকা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস জানান, এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু হয়। সেজন্য বাড়ির আশপাশে ও ডোবা নালা, ময়লা-আবর্জনার স্তুপ নোংড়া ড্রেন নিয়মিত পরিস্কার করা ছাড়াও ফুলের টব, টায়ার ও ডাবে পানি জমে না থাকার ব্যাপারেও মানুষের আরও বেশি সচেতন হতে হবে। এছাড়া যশোর জেলার সকল পৌর মেয়র ও জন প্রতিনিধিরা সোচ্চার হলে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। সিভিল সার্জন আরও জানান, ভবদহের পানি জমে থাকার কারণে অভয়নগর উপজেলার মানুষ বেশি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানতে পেরেছেন। ভবদহ পাড়ের মানুষকে সচেতন করার জন্য স্বাস্থ্য কর্মীরা মাঠে কাজ করছেন।