সানজিদা আক্তার সান্তনা, যশোর অফিস : যশোরে জেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উল্লেখেযাগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় যত দিন যাচ্ছে উত্তেজনা বাড়ছে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বী নিয়ে। শার্শা, সদর, ঝিকরগাছা ও মণিরামপুর উপজেলার সদস্য পদগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সাথে উত্তাপের শঙ্কা রয়েছে। কেননা এই আসনে ভোটে নেমেছেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতা, রাঘােব বোয়াল ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছের আত্মীয় ও অনুসারীরা।

তবে জেলা রির্টানিং অফিসার বলছেন, ‘সুষ্ঠু ভোট গ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা। কঠোর নিরাপত্তা ও অবাধ ভোট গ্রহণের জন্য সকল ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন।

যশোর জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে, যশোরের আট উপজেলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ ৫১ জন সদস্য প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সাইফুজ্জামান পিকুল ও বিকল্পধারার মারুফ হোসেন কাজল। ৮টি সাধারণ সদস্যের পদের বিপরীতে ৩৭ জন ও ৩টি সংরক্ষিত সদস্যের পদের বিপরীতে ১৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৮টি উপজেলার মধ্যে ৭টি উপজেলা পরিষদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বাকি সদর উপজেলার ভোটগ্রহণ হবে যশোর শহরের কালেক্টরেট সরকারি বিদ্যালয়ে। ৮টি কেন্দ্রে ১৬টি বুথে সকাল ৯ থেকে ২টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে জেলা পরিষদের নির্বাচনে শনিবার (১৫ অক্টোবর) রাতে সব প্রচারণা শেষ হয়েছে। জেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বড় কোন দলের প্রার্থী বা স্বতন্ত্র কোন শক্তিশালী প্রার্থী অংশ না নেওয়ায় চেয়ারম্যান পদে তেমন একটা প্রচারণা হয়নি। এ পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিজেই জেলার ইউনিয়ন গুলোর চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। অংশ নেয়নি জেলা আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ নেতারা। তবে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আওয়ামীলীগের হেভিওয়েট নেতাদের মাঠ পর্য্যায়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে।