ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ সদ্য ঘোষিত ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির কমিটি নিয়ে তৃণমুলে ক্ষোভ আর অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে।

অনেকে এই কমিটিকে সভাপতি ও সম্পাদকের পকেট কমিটি বলেও আখ্যায়িত করেছেন। কারন হিসেবে বলা হচ্ছে নতুন এই কমিটিতে বিএনপির প্রভাবশালী ১৩ নেতা ৪০টির বেশি পদ দখল করেছেন। আর এই অসম্ভবকে সম্ভব করা হয়েছে ব্যাপক অনিয়ম সেচ্ছাচারিতা ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে। ৫ সেপ্টম্বর জেলা কমিটির তালিকা সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে প্রকাশের পর পদ বঞ্চিত নেতা ও সংগঠনকে ভালোবাসে এমন মানুষ নেতাদের বিরুদ্ধে সমালোচনার ব্যাপক ঝড় তুলেছে।

অনেকে ২৫ বছর ধরে ঢাকায় বসবাস ও ব্যবসা বানিজ্য করেন কোন দিন আন্দোলন সংগ্রাম মিছিল মিটিংএ দেখা যায়নি এমন ব্যাক্তিও জেলা কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। আবার বিভিন্ন সময় আওয়ামীলীগের মিছিল মিটিংয়ে সরব এমন ব্যক্তিকেও জেলা বিএনপির কমিটিতে রাখা হয়েছে বলে মাঠ পর্যায়ের নেতাদের অভিযোগ। অথচ যে সব নেতা কর্মীরা বিএনপি দল করেন এবং আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে লড়াই করে আসছে তাদের কমিটিতে রাখা হয়নি। অনেক নেতা শাসক দলের হামলা, মিথ্যা মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়ে দুই ডজন মামলা মাথায় নিয়ে ঘর বাড়ি ছেড়ে আজ পথের ফকির। অনেকে নিজ এলাকা ছেড়ে অন্য জেলা শহরে রিকসা ভ্যান ইজিবাইক চালিয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করছেন। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আবার জেলা কৃষক দলেরও আহবায়ক। তাকে আবার সদ্য ঘোষিত জেলা কমিটির সহ-সভাপতি করা হয়েছে। জিয়াউর রহমান জিয়া মহেশপুর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহেশপুর থানা যুবদলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাকেও জেলা বিএনপির সদস্য করা হয়েছে। কামরুজ্জামান লিটন জেলা জাসাসের সাধারন সম্পাদক ও সদর থানা বিএনপির সহ সাধারণ সম্পাদক। তাকে জেলা বিএনপির সদস্য করা হয়েছে।

জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড: এম এ মজিদের ব্যবসায়ীক পার্টানার মোঃ শাহিন খাঁন আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান সদর উপজেলার কাচিরনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য, সদর থানা বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক। তাকেও জেলা বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক বানানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ২০০৩ সালে হাফিজ চেয়ারম্যানের সাথে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন শাহিন খান। ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য মোঃ সফিকুল ইসলাম অপুর সাথে নির্বাচনী মাঠে বিএনপি নেতা কর্মীদের চরম নির্যাতন করেছেন। গত ৩ বছর আগে জেলা বিএনপির সভাপতির পার্টানার হওয়ার পরেও তিনি আওয়ামীলীগের সভা সমাবেশে সরব ছিলেন। তিনি এখনও বিএনপিতে যোগদান না করেই সভাপতির ব্যবসায়ীক পার্টানার হিসাবে প্রভাব খাটিয়ে বিএনপির একাধিক পদ নিয়েছেন। আগামী নিউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কালিচরনপুর ইউনিয়নে বিএনপি থেকে তাকে নমিনেশান দেওয়া হবে বলে তিনি ইউনিয়ন এলাকায় শুভেচ্ছা জানিয়ে পোষ্টার টাঙ্গিয়ে রেখেছেন। কলেজের প্রভাষক কামাল উদ্দিন জেলা বিএনপির সহ সম্পাদক ছাড়াও জেলা জিয়া পরিষদের সভাপতি ও হরিনাকুÐু থানা বিএনপির সদস্য। প্রভাষক এম আক্তারুজ্জমান মুকুল নিজ উইনিয়নের সদস্য, থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক তাকেও জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক করা হয়েছে। যুব নেতা আশরাফুল ইসলাম পিন্টু সদ্য ঘোষিত জেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন। কিন্তু তিনি এর আগেই জেলা যুব দলের সাধারণ সম্পাদক ও হরিনাকুন্ডু থানা বিএনপির সদস্য হিসেবে রয়েছেন। শৈলকুপার উসমান আলী জেলা বিএনপির সহ সভাপতি, শৈলকুপা বিএনপির সহ সভাপতি ও কেন্দীয়্র কৃষকদলের সহ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। রড চুরি ও মাদক মামলার আসামী হারুন মোল্লার নামে বাংলাদেশে অনেক থানায় ৪২০ ধারায় মামলা রয়েছে তাকেও কালিগজ্ঞ থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক, কৃষকদলের নির্বাহী সদস্য ছাড়াও জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হয়েছেন। প্রভাষক জাহাঙ্গীর হোসেন সদর থানা বিএনপির সদস্য ও জেলা জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাকে নতুন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে। কালীগঞ্জের সাইফুল ইসলাম ফিরোজ কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে আছেন। কালিগজ্ঞ থানা বিএনপির সদস্য এই নেতাকেও জেলা বিএনপির নুতন কমিটির সদস্য রাখা হয়েছে। প্রভাষক আব্দুল খালেক ঝিনাইদহ সদর থানা বিএনপির ২নং যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আবার পাগলাকানাই ইউনিয়ন বিএনপিরও সদস্য। তাকে জেলা বিএনপির তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক করা হয়েছে। ডাকবাংলার আলাউদ্দিন আল মামুন সাগান্না ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে আছেন। তিনি আবার সদর থানা বিএনপির সদস্য। তাকে জেলা বিএনপির সহ সভাপতি করা হয়েছে। এ্যাড মুন্সি কামাল কামাল আজাদ পান্নু সদর থানা বিএনপির সভাপতি। তাকেও জেলা বিএনপির