সানজিদা আক্তার সান্তনা, যশোর অফিস : যশোর বেনাপোল হাইওয়ে সড়কের শতবর্ষী মৃত-অর্ধমৃত পুরোনো শিশু গাছের কারণে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। গাছ নয়, এ যেন মৃত্যুফাঁদ। সামান্য বাতাসে গাছের ডালপালা ভেঙে মানুষের ঘর-বাড়ী সহ শরীরের উপর পড়ে। মাঝে মধ্যে পুরো গাছই সড়কের ওপর ও পাশে উপড়ে যায়। এতে পথচারীর সহ আশপাশের বাড়ি-ঘর দুর্ঘটনার শিকার হয়।

সড়কের দু’ধারে বসবাসকারী ও এলাকাবাসীরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে গাছগুলো ধীরে ধীরে মরে যাচ্ছে। মাঝে মধ্যে এই মরা গাছ গুলোর ডালপালা ভেঙ্গে পড়ে প্রানহানীর ঘটনা সহ গাছ উপড়ে পড়ে সড়কের পাশে বসবাসকারীদের বাড়ী-ঘরে পড়ছে। যাতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এলাকাবাসী। এ মৃত-অর্ধমৃত গাছগুলি কেটে নেওয়া না হলে বা দ্রুত অপসারণ করা না হলে যে কোনো সময় বড় ধরনের অঘটন ঘটতে পারে।

নাভারন শহরের ব্যবসায়ী পলাশ হোসেন বলেন, খুবই গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি, অনেক গুলো মরা গাছের কারণে আতঙ্কের মধ্য দিয়ে নাভারন, ঝিকরগাছা, পুলেরহাট শহর সহ এ সড়কে যাতায়াত করতে হয়। সামান্য বাতাসে ডালপালা ভেঙে পড়ে। ২বছর আগেও নাভারন শহরে যাওয়ার পথে মরা ডাল ভেঙে পড়ে একটি মটরসাইকেলের উপরে পড়েছে। ঘটনাস্থলেই মটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়। সরকারের কাছে দাবি জানাই, যেন দ্রুত এই গাছগুলো কেটে নেয়ার জন্য, অন্যথায় যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

আবু কালাম নামে এক ব্যক্তি নাভারন শহরে আসা এক ক্রেতা বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ শহরটির মাঝ দিয়ে যাওয়া হাইওয়ে সড়কটিতে বেশ কিছু গাছ অনেক দিন থেকে মরে আছে। এখন এসব গাছ ও ডালপালা যখন-তখন ভেঙে পথচারীদের উপর পড়ছে। এসব গাছ দ্রুত কেটে নেওয়া উচিত।

শার্শা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মঞ্জু বলেন, এসব গাছ দ্রুত অপসারণ করে সেই জায়গায় ফলজ ও বনজ গাছের চারা লাগানো যেতে পারে। মরা গাছগুলোর কারণে প্রতিনিয়ত নানা দুর্ঘটনা ঘটছে। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যেন গাছগুলো দ্রুত অপসারণের করা হয়।