ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভালকী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চার কর্মচারি নিয়োগ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার বিভিন্ন দৈনিকে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হলে ভালকী, চারাতলা ও শিতলী বাজারে পত্রিকার কপি বিতরণ করতে দেখা যায়। এছাড়া এক প্রর্থীর টাকায় স্কুল সভাপতি ইয়ামিন ও শিক্ষক সলেমান দুইটি পালসার গাড়ি কিনলেও টাকা দেওয়া সেই প্রার্থীকে চাকরী দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে পায়রাডাঙ্গা গ্রামে শোরগোল শুরু হয়েছে। পায়রাডাঙ্গা গ্রামের তমছের আলী মন্ডল অভিযোগ করেন, তার ছেলে শান্তকে অফিস সহকারী পদে চাকরীর জন্য সভাপতি ইয়ামিন ও শিক্ষক সলেমান মন্ডলের কাছে ৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দেন। এই টাকা দেওয়ার ক’দিন পরই যশোর থেকে এক সাথে দুইটি কালো পালসার গাড়ি কিনে আনেন সভাপতি ইয়ামিন ও শিক্ষক সলেমান। অথচ টাকা দেওয়ার পরও তার ছেলে শান্তকে চাকরী দেওয়া হয়নি। বেশি টাকা পেয়ে ওই পদে আরেকজনকে চাকরী দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি দুদক ও শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে অভিযোগ করবেন বলে তমছের আলী জানান। উল্লেখ্য ভালকী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোটা অংকের টাকা নিয়ে চারটি পদে নিয়োগ দিয়েছেন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। টাকা ভাগাভাগী নিয়ে যেকোন সময় মারামারি বা নিয়োগের বিরুদ্ধে মাদলা হতে পারে বলে এলাকাবাসি আশংকা প্রকাশ করছেন। বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির দুই সদস্য আনোয়ার হোসেন ও সাবনুর অভিযোগ করেন, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর ভালকী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, অফিস সহায়ক, নিরাপত্তাকর্মী ও আয়া পদে চাকরী দেওয়া হয়েছে। মটরসাইকেল কেনা নিয়ে স্কুলের সভাপতি ইয়ামিন চৌধুরী সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি। সভাপতির সহযোগী পায়রাডাঙ্গা গ্রামের নুরো মন্ডলের ছেলে ভালকী হাই স্কুলের শিক্ষক সলেমান মন্ডলের বক্তব্য নিতে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধেরেননি। হরিণাকুন্ডু উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফজলুল হক বলেন, ভালকী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারি নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে স্থানীয় পত্রপত্রিকা ও সামাজিক মাধ্যমে খবর দেখেছি। আমার কাছে এ নিয়ে কোন অভিযোগ আসলেও নিয়োগ শেষ হওয়ার পর আমার কিছুই করার নেই।