খুলনা বিভাগ, জেলার খবর, মাগুরা | তারিখঃ সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 2915 বার
শালিখা (মাগুরা) প্রতিনিধিঃ মাগুরার শালিখায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টাকা না দেওয়ায় সেবা বঞ্চিত হলেন আবদুল মান্নান(৫০) নামে টিউমারে আক্রান্ত এক রোগী। এমন অভিযোগের সত্যতা জানার জন্য মঙ্গলবার বিকালে চ্যানেল এস এর শালিখা উপজেলা প্রতিনিধি এইচএম রাজিব ও দৈনিক যশোর পত্রিকার নিজস্ব প্রতিনিধি নাজমুল হক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অভিযুক্ত ডাক্তার উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নাজমুল করিম এর সঙ্গে কথা বলতে গেলে বিষয়টি নিয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। এসময় তার দেয়া বক্তব্যের ভিডিও ধারণ কালে নাজমুল করিম এর পাশে থাকা আউটসোর্সিং এ কর্মরত ওটি বয় ( অপারেশন থিয়েটারের সহকারি) উৎপল সাংবাদিকদের ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন যা একটি ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে স্পষ্ট দেখা গেছে। জানাগেছে, উপজেলা সদর আড়পাড়া গ্রামের আবদুল মান্নানের আন্ডারআর্মে একটি টিউমার হয় যা অপারেশন করাতে শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান তিনি এবং সেখানে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার নাজমুল করিম তাকে অপারেশন করাতে ৩ হাজার ৫ শত টাকা দিতে বলেন এবং অপারেশণ করানোর জন্য হাসপাতালের বাইরে থেকে কিছু ওষুধ ও প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করে আনতে বলেন এবং দু ঘন্টা অপেক্ষা করতে বলেন। দু’ঘণ্টা পর ভুক্তভোগী মান্নান ও তার সাথে থাকা মেহেদি হাসান ও সাগর ডাক্তার নাজমুল করিম এর কাছে গিয়ে বলেন, সরকারি হাসপাতালে অপারেশন করাতে তো টাকা লাগে না তাহলে কেন টাকা দিতে হবে। একথা শুনে অভিযুক্ত ডাক্তার নাজমুল করিম ভুক্তভোগী মান্নানকে অন্যত্র চলে যেতে বলেন। পরে ভুক্তভোগী আব্দুল মান্নান স্থানীয়দের সহযোগিতায় হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী ফাতেমা ক্লিনিক নামে একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ১ হাজার টাকার বিনিময়ে তার টিউমার অপারেশন করান। বিষয়টি জানার জন্য ঘটনাস্থলে যান সাংবাদিক এইচ এম রাজিব ও নাজমুল হক তখনি ঘটনাটা ঘটে। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কর্তা ডাক্তার সাইমুন নেছা বলেন, আমি একটি জরুরি প্রয়োজনে ঢাকায় এসেছি তবে বিষয়টি শুনেছি। এছাড়ও আগামী শনিবার অফিসে গিয়ে তদন্ত পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি। এদিকে এ ব্যাপারে নিউজ প্রকাশ না করতে বিভিন্ন লোক ধরাপড়া করছেন অভিযুক্ত উৎপল ডাক্তার নাজমুল করিম। এ ব্যাপারে কয়েকজন স্থানীয় লোকের সাথে কথা বললে তারা জানান, এরকম ঘটনা ওই হাসপাতলে একাধিকবার ঘটেছে। এছাড়াও নবনিযুক্ত পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাইমুন নেছা হাসপাতালে কোন সেবার বিনিময়ে জনসাধারণের নিকট থেকে অর্থ নেওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা করলেও হাসপাতালটির কর্মচারীরা তা মানে না বলেও জানান তারা।