বিল্লাল হোসেন, ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামে লিষ্কৃত পুকুরে বিষ দিয়ে খামারের মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় খামারের মালিক বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায়। পুকুরের মালিকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক (৬০) সাং চাঁনপুর উপজেলা ভালুকা ময়মনসিংহ।

অভিযোগে ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের মৃত: ছায়েদ আলী তালুকদারের ছেলে মো: হেলাল উদ্দিন তালুকদার (৫০)। গত (০৩/১২/১৯/ তারিখে) মাছ চাষ করা জন্য দুইটি পুুকুর। একই গ্রামের আবু বক্কর ছিদ্দিক হাজির কাছ থেকে ৩ বছরের মেয়াদী। এগ্রিমেন্ট করে মাছ চাষ করে আসছিল। ওই খামারের মেয়াদ অতিক্রম হওয়ার আগে থেকেই। খামারের মালিকে চাষকৃত পুকুর মাছ নিয়ে খালি করে দেওয়া জন্য তাগিদ দিতে থাকে। উল্লেখ আগামী (০৩/১১/২০২২ তারিখ পযন্ত খামারের মেয়াদ শেষ হবে।

খামারের মালিক হেলাল উদ্দিন গত ০৫ /০৯/২০২২ইং, তারিখ সকাল অনুমান ৭.৩০ ঘটিকার সময় পুকুরের পাড়ে গিয়ে দেখতে পায় যে, তার একটি পুকুরের মাছ মরিয়া পানির উপর ভাসিয়া সাদা হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৩,০০,০০০/ (তিন লক্ষ) টাকার খামারের মাছ ক্ষয়ক্ষতির সাধন হয়।

ভুক্তভোগীর বলেন, গত রবিবার বিকালে চাঁদপুর বাজারে পুকুরের মালিকের সাথে আমার ঝগড়া হয়। এমনকি সে নিজের মুখেই রাজ বাজারে বলেন। তোকে আর মাছ মারতে দেবো না আমার পুকুরে নামতেও দেব না। ওই দিবাগত রাতেই খামারে বিষ প্রয়োগ করেছে প্রতিপক্ষ। এতে আমার খামারের রুই, কাতলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির পোনা মাছ মরে গিয়েছে।

পুকুর মালিক স্বীকার করে বলেন, বেশ কিছুদিন যাবৎ মাছ চাষীকে বলা হয়। তোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে দ্রুত আমার পুকুর খালি করে দেওয়া জন্য তাগিদ দেওয়া হয়। এ নিয়ে গত রবিবার বিকালে চাঁনপুর বাজারে আমার চাষির সাথে কাটাকাটি হয়। এরপর দিন সকাল ৮টার দিকে আশপাশের লোকমুখে শুনতে পাই, পুকুর মাছ মরিয়া ভাসিয়া উঠেছে।

এ ঘটনায় স্থানীয় সুনির্দিষ্ট কোনো সাক্ষী পাওয়া যায়নি। এমনকি এগ্রিমেন্টেকৃত কাগজের লেখার মধ্যে অপারেটিং হয়েছে। এমনকি পুকুর মালিক পক্ষের জোর আপত্তি রয়েছে।

মডেল থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই আবুল কালাম আজাদ জানান, তদন্ত করে আসছি। ঘটনার সততা রয়েছে মামলা রুজু করার প্রস্তুতি চলছে।